সিলেট ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৫৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: সিলেটে ট্রাভেল এজেন্সিতে এক বিদেশগামী যাত্রীকে করোনার ভুয়া টিকা দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযোগ পেয়ে ওই ট্রাভেল এজেন্সিতে অভিযান চালানো হলে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে সটকে পড়েন সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (১১ অক্টোবর) নগরের রংমহল টাওয়ারের পিএম এন্টারপ্রাইজ নামক ট্রাভেল এজেন্সিতে এ অভিযান চালানো হয়। ভুয়া টিকা নেওয়া ভুক্তভোগী দুবাই যাত্রী আজির উদ্দিন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, দুবাই যেতে ওই প্রবাসী পিএম ট্রাভেলসে যান এক মাস আগে। তার কাছ থেকে এক হাজার টাকা নিয়ে মর্ডানার টিকা নাম করে ভুয়া টিকা দেন তারা। সংশ্লিষ্টরা সাদা এপ্রোন পরা নারীকে দিয়ে তাকে টিকা দিয়েছেন। সোমবার ওই প্রতিষ্ঠানে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে গেলে সংশ্লিষ্টরা সনদ নিতে আজির উদ্দিনকে নগরভবনে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে পাঠান। কিন্তু জাল সনদে উল্লেখ করা প্রথম ডোজের তারিখে নগরভবনে দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম চলমান ছিল। তাতেই ধরে নেওয়া হয় ওই প্রতিষ্ঠান লোকটির সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
তিনি বলেন, জেরার মুখে আজির উদ্দিন সবকিছু স্বীকার করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। কিন্তু পিএম এন্টারপ্রাইজ নামক ট্রাভেল এজেন্সির লোকজন তার আগেই সটকে পড়ে। তবে তাকে হাজির হতে মার্কেট মালিক ও কমিটিকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ভুয়া টিকা নেওয়া আজির উদ্দিনকে তার আত্মীয় সিলেট সদরের হাটখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজির উদ্দিনের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সিলেট সদরের হাটখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ট্রাভেল এজেন্সি কর্তৃক প্রথম ডোজের জাল সনদ নিয়ে নগরভবনে দ্বিতীয় ডোজ নিতে যান আজির উদ্দিন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের খবর পেয়ে নগরভবনে গিয়ে জানতে পারি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। পিএম এন্টারপ্রাইজ নামক ট্রাভেল এজেন্সি এক মাস আগে তাকে এক হাজার টাকা নিয়ে ভুয়া টিকা দিয়েছে। অভিযানিক দলের সঙ্গে ওখানে গেলে সংশ্লিষ্টদের পাওয়া যায়নি। তারা দোকান বন্ধ করে সটকে পড়েন। পরে মার্কেট কর্তৃপক্ষ ও মার্কেট সমিতিকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।
এ বিষয়ে দুবাই যাত্রী আজির উদ্দিন বলেন, তারা বলেছে করোনার টিকা ট্রাভেলসেই দেওয়া হয়। তিনি জানতে চেয়েছিলেন, টিকা তো ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেওয়া হয়। কিন্তু তারা বলে, নার্স এসে এখানেই টিকা দিয়ে যায়। তখন সাদা গাউন পরা এক নারী তাকে টিকা দেয়। এভাবে আরো লোকজনকে টিকা দিতে দেখেছেন তিনি।
তিনি বলেন, এক মাস পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে গেলে ট্রাভেল এজেন্সি একটি কাজগ হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে টিকার মূল সার্টিফিকেট আনতে গেলে সিটি করপোরেশনে গিয়ে দ্বিতীয় ডোজ দিয়ে সনদ নিয়ে আসতে হবে। ওখানে জাল সনদ দেখে জেরার মুখে পড়লে তিনি সবকিছু খুলে বলেন।
এ বিষয়ে জানতে পিএম এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী সামছু মিয়ার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তার দু’টি মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd