সিলেট ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৫ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:৩৬ অপরাহ্ণ, জুন ২৬, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : পটুয়াখালীর বাউফলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার কয়েকদিন পর, প্রেমের সম্পর্কের সালিশ করতে গিয়ে কিশোরীকে পছন্দ হওয়ায় বিয়ে করে নিয়েছেন চেয়ারম্যান নিজেই। এদিকে প্রেমিকাকে হারিয়ে কষ্ট সহ্য করতে না পেরে প্রেমিক রমজান বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তিনি বর্তমানে বাউফল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
অভিযুক্ত ওই চেয়ারম্যানের নাম শাহিন হাওলাদার (৬০)। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নৌকা মার্কায় নির্বাচন করে ইউনিয়নের দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কনকদিয়া ইউনিয়নের নারায়ণপাশা গ্রামের রমজান (২৫) নামের এক যুবকের সাথে একই ইউনিয়নের চুনারপুল এলাকার নবম শ্রেণির ছাত্রী নছিমনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি নছিমনের বাবা নজরুল ইসলাম। তিনি এবিষয়টি কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে জানান।
চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার শুক্রবার ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বৈঠক ডাকেন। ওই বৈঠকে রমজান ও নছিমনসহ দুই পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সালিস বৈঠকে মেয়ে দেখে পছন্দ হয়ে যাওয়ায় তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। মেয়ের বাবা এ বিয়েতে সম্মতি প্রকাশ করলে ওই দিন বাদজুমা চেয়ারম্যানের আয়লা বাজারস্থ বাসায় কাজী ডেকে এনে ৫ লাখ টাকা কাবিনে নছিমনকে বিয়ে করেন। এটি চেয়ারম্যানের দ্বিতীয় বিয়ে।
নছিমন কনকদিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, ওই কিশোরীর বয়স ১৫-১৬ বছর হবে।
এ ব্যাপারে শাহিন হাওলাদারের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মেয়েটিকে দেখে আমার পছন্দ হওয়ায় তাকে বিয়ে করেছি। এ ছাড়া আমার বিয়ে প্রয়োজন ছিল। কনের বয়স সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন। তার জন্ম তারিখ ২১ এপ্রিল ২০০৩। তিন বছর হয় পড়াশুনা বাদ দিয়েছেন। বিয়ের বিষয়টি নিয়ে তিনি লজ্জিত নন বরং আনন্দিত।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd