সিলেট ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:২১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে চলছে সর্বাত্মক লকডাউন। কঠোর লকডাউনের ৫ম দিন রোববার দুপুরে এলিফ্যান্ড রোডে এক চিকিৎসকের০ পরিচয়পত্র চাওয়া নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এই ঘটনার ভিডিও করেন একটি জাতীয় পত্রিকার এক ফটো সাংবাদিক। পরে সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনি প্রাইভেট কারযোগে এলিফেন্ট রোডের ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশের সহযোগিতায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট তার গাড়ি থামিয়ে পরিচয়পত্র দেখতে চান। বারবার অনুরোধ করেও তার কাছ পরিচয়পত্র দেখতে পাননি উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা। ওই চিকিৎসক জানান, তিনি পরিচয়পত্র বাসায় রেখে এসেছেন।একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে উঠেন চিকিৎসক জেনি।
নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। তিনি বলেন, করোনায় জীবন গেছে কয়জন ডাক্তারের, আর আপনারা কতজন মরছেন। আমার কাছে আবার চান মুভমেন্ট পাস।
এ সময় নিউমার্কেট থানার ওসি এসএম কাইয়ুম ওই নারীকে বলেন, আপনি আমাদের ধমক দিচ্ছেন কেন? জবাবে ডাক্তার বলেন, আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলীর মেয়ে। জবাবে ওসি বলেন, আমিও মুক্তিযোদ্ধার ছেলে। আপনি আমাকে শোনাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধার কথা।
ডাক্তার তখন নিজের পরিচয় সম্পর্কে বলেন, ডাক্তার হয়রানি বন্ধ করতে হবে। আমি বিএসএমএমইউ প্রফেসর, বীর বিক্রমের মেয়ে। আমাকে আপনারা হয়রানি করতে পারেন না।পরে পুলিশের আরেক সদস্য বলেন, আপা আপনাকে তো হয়রানি করা হচ্ছে না। আপনার কাছে পরিচয়পত্র চাওয়া হচ্ছে।
একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে চিকিৎসক জেনি বলেন, তুই মেডিকেলে চান্স পাস নাই, তাই তুই পুলিশ। আমি চান্স পাইছি তাই আমি ডাক্তার।
বাকবিতণ্ডায় একপর্যায়ে ওই চিকিৎসক তার কাছে পুলিশ সদস্যদের ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেন। পরবর্তীতে নারী চিকিৎসকের অন্য সহকর্মীরা ঘটনাস্থলে এলে বিষয়টি সমাধান হয়। প্রায় আধা ঘন্টা পরে চিকিৎসক জেনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd