সিলেট ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:২৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৭, ২০২০
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: বিশ্বজুড়ে নতুন করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিস্তার বাড়ছেই। এই মহামারী ঠেকাতে দেশে গত প্রায় আট মাস ধরে চলছে অঘোষিত ‘লকডাউন’। এর আগে হয়তো এই লকডাউন শব্দটি এদেশের অনেক মানুষেরই জানা ছিলো না।
কিন্তু এর প্রভাব এখন সহজেই টের পাচ্ছেন এ দেশের হতদরিদ্র, নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলো। অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্থবির থাকায় কঠিন সংকটের মুখে পড়েছেন দিন এনে দিন খাওয়া এই মানুষেরা।
এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও সদর উপজেলায় প্রায় ১২ লাখ জনসংখ্যার ২০ শতাংশই দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ বা দিন মজুর। গত ১০ মাস ধরে তারা কর্মহীন, উপার্জনহীন। যারা এতোদিন পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন, এখন কাজ না থাকায় তারা হাত পাততে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকে আবার পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরবে-নিভৃতে অনাহারে দিন পার করছেন। প্রায় ৩ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক দেশের এই নিম্নআয়ের মানুষের অন্তর্ভুক্ত। যারা সরকারি বা বেসরকারি কোন খাত থেকে সাহায্য-সহযোগিতা পাওয়ার তালিকায় নেই। আর সবাই যখন একই সংকটে তখন অন্যের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার আশা করাটাও দুরূহ ব্যাপার।
চালকরা বলেন, এতদিন আবুলকে টাকা দিয়ে টোকেনের মাধ্যমে গাড়ি চালাতে হয়েছে আমাদের। এখন পুলিশের কঠোররতায় আবুলের টোকেন বাণিজ্য বন্ধ হওয়ায় শান্তিতে তারা। নাম্বার বিহীন সিএনজি গুলো গোয়াইনঘাট থেকে সালুটিকর পর্যন্ত চলাচল করে। আর নাম্বারের গাড়ি সিলেট গেলেই পড় হয় শ্রমিক নেতা আবুল খাঁনের বাহিনীর নির্যাতনে। এভাবে তারা আর কতো নির্যাতন সহ্য করবে। আবুলের লোকজন তারেক ও তাজুল বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে দৈনিক টাকা আদায় করেন। এই অবস্থায় অটোরিকশা সিএনজি চালকদের পাশে দাঁড়ানো সময়ের দাবি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd