সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ১:১৭ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটে হঠাৎ করেই জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। গত দুই দিন ধরে হঠাৎ করেই তাপমাত্রা মাপনযন্ত্রের পারদ নিচে নেমে আসায় অব্যাহত গরমের পর অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। রাতে বৈদ্যুতিক পাখা বন্ধ করে দিয়ে শীতের গরম কাপড় বের করতে শুরু করেছেন মানুষজন।
কুয়াশার বুক চিরে ভোরের সূর্যোদয়। বিকেলের নীল আকাশের ক্যানভাসে থোকা থোকা সাদা মেঘের ভেলা। সিলেটে গত কয়েকদিন থেকে এমন দৃশ্য যেন শুনাচ্ছে শীতের পদধ্বনি। সিলেটে এমন ভোর আর সন্ধ্যার ঠিক আগের আকাশ যেন বলছে- শীত আর বেশি দূরে নেই।
গত কয়েকদিন ধরে সিলেটে সূর্যোদয়ের আগ থেকে না হলেও রাত ৯-১০ টা থেকে হালকা কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে চারপাশ। আর ফজরের সময় থাকছে মোটামুটি ঘন কুয়াশা। সঙ্গে থাকছে ঠান্ডা বাতাসের প্রবাহ। পৌষ ও মাঘ মাস আসতে এখনও মাসাধিক সময় বাকি থাকলেও দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সিলেটে বেড়ে চলছে শীতের অনুভূতি।
নগরজীবনে অনুভূত না হলেও গত কয়েকদিন থেকে শীতের আগমনি বার্তা ভালোই ঠের পাচ্ছেন সিলেটের গ্রামাঞ্চলের মানুষ। দক্ষিণ সুরমার আব্দুল কুদ্দুস নামের এক কৃষক সিলেটভিউ-কে জানালেন, ৩-৪ দিন আগেও রাতে বৈদ্যুতিক পাখা ছেড়ে ঘুমাতে হতো। তবে এশার নামজের পর থেকে কিছুটা শীত শীত অনুভূতি হয়। আর ফজরের সময়তো রীতিমতো একটু মোটা কাপড় পরতে হয়।
শীতের আগমন বিষয়ে সিলেট আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। এ কারণে তৈরি হয় প্রচুর জলীয় বাষ্প। এই জলীয় বাষ্প থেকে সৃষ্টি হওয়া মেঘমালা বাংলাদেশের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। এ কারণে সিলেটসহ দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে দু-তিনদিন বৃষ্টি হয়েছে।
এই বৃষ্টির কারণে ২৮ অক্টোবরের পর থেকে সিলেটে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। যেহেতু দিনের ব্যাপ্তি কমে এসেছে, তাই একটা শীত শীত ভাব শুরু হয়েছে। তবে এটিকে শীতকাল বলা যাবে না, বরং শীতের পদধ্বনি বলা যাবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd