তাহিরপুরে কিশোরী ধর্ষণ

প্রকাশিত: ১১:৪৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৩, ২০২০

তাহিরপুরে কিশোরী ধর্ষণ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: একের পর এক র্ধষণের ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচার মধ্যে এবার সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা ৪সন্তানের জনক কর্তৃক দিনমজুর পরিবারের কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত ধর্ষক মোতালিব উত্তর বড়দল ইউনিয়নের মাহারাম গ্রামের ইছব আলীর ছেলে ও ধর্ষিতা একেই ইউনিয়নের মাহারাম আর্দশ গ্রামের দিনমজুর শাহ বেওয়াজের মেয়ে। ঘটনাটি গত সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটা সময় তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের মাহারাম আদর্শ গ্রামে।

কিশোরীর পরিবার ও ধর্ষিতা কিশোরী জানাযায়, মাহারাম আর্দশ গ্রামের দিনমজুর শাহ বেওয়াজের কিশোরী মেয়েটি তার নিজ বসত ঘরে এক বছর আগে একটি ছোট মুদির দোকান দেয়। এর সুবাদে মাহারাম চকবাজারের মোতালিবের দোকান থেকে পাইকারি মুদি মাল কিনে আনত। এই সুবাদে মোতালিব কিশোরীর বাড়িতেও আসা যাওয়া করতো প্রায় সময়।

পরে কিছুদিন যেতে না যেতেই মোতালিবের চোখ পরে ওই কিশোরীর উপর। পরে গত ৫/৬মাস যাবৎ ওই দিনমজুর কিশোরীকে মোবাইলে ফোন করে তাকে বিয়ে করবে এবং ৪০ হাজার দেবে এমন বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে ওই কিশোরীর রাজি না হয়ে মোতালিবকে তার বাড়িতে না আসতে নিষেধ করে।

এতে মোতালিব ক্ষিপ্ত হয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এরই জের ধরে গতকাল ১২অক্টোবর সোমবার তার আড়াইটার সময় বাড়িতে গিয়ে ঘরের বেরা ভেঙে ঘরে ডুকে মুখ বেধে জোরপূর্বক কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষিতা কিশোরীর আত্নচিৎকারে পাশ্ববর্তী ঘরের লোকজন আসলে মোতালিব দৌড়ে পালিয়ে যায়।

ধর্ষিতা কিশোরী আরও জানায়,সকাল থেকেই আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে। স্থানীয় ভাবে শেষ করার জন্য কিন্তু আমির এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এলাকাবাসী জানায়, ১০/১২বছর আগে মোতালিবের প্রথম স্ত্রী গলায় ফাস লাগিয়ে আত্নহত্যা করে। পরে সে আবার ২য় বিয়ে করে এখন ৪সন্তানের জনক। গত রাত ২টা সময় মেয়েটির ঘরে চেচামেচি শোনেছি।

ধর্ষকের পরিবার স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় এ ঘটনাটি জানাজানি পর একটি প্রভাবশালী মহল স্থানীয় বিচার শালিসে ধর্ষণের দামাচাপা দিতে এবং আইনি সহায়তা না নিতে সকাল থেকেই ঘরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে এমন অভিযোগ ধর্ষিতার পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসীর। এঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ধর্ষক মোতালিব পলাতক রয়েছে।

এব্যাপারে উত্তর বড়দল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বলেন,বিষয়টি আমাকে গ্রামের অনেকেই ফোনে জানিয়েছে। তবে বিষয়টি সত্য।

এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, বিষয়টি আমি জানি না এবং কেই এ বিষয়ে কোন অভিযোগ করেনি। খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

October 2020
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

সর্বশেষ খবর

………………………..