সিলেট ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৪৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার আট ইউনিয়ন। বঙ্গোপসাগর ও মেঘনা উত্তাল হয়ে রুদ্রমূর্তি ধারণ করায় এ দ্বীপ উপজেলার সঙ্গে সব নৌচলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এর আগে আগস্ট মাসের প্রথম ও তৃতীয় সপ্তাহে পর পর এ আট ইউনিয়ন দুবার প্লাবিত হয়েছিল।
বুধবার হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম জানান, বেড়িবাঁধ না থাকায় অস্বাভাবিক জোয়ার হলেই এ দ্বীপের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে পানি ঢুকে পড়ে। ফলে এ এলাকার ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি ও মাছভর্তি পুকুর ও ঘের প্লাবিত হয়ে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অতিবৃষ্টির কারণে সাগর ও মেঘনা নদী উত্তাল হয়ে সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে অতিরিক্ত জোয়ারে পানি ঢুকে হাতিয়ার সুখচর, নলচিরা, চরঈশ্বর, তমরুদ্দি, সোনাদিয়া, হরনি, চানন্দি ও নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন।
এসব ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে আবার ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন নেতা ও সুখচরের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন জানান, চরআমানউল্লাহর নদীপাড়ের অধিকাংশ বাড়িঘর, রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত জোয়ারের পানিতে মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়ে গেছে।
হাতিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, সরকারের কাছে আবেদন– আমরা ত্রাণ চাই না, দয়া করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে হাতিয়ার অপার সম্ভাবনাময় মৎস্য, বনজ, কৃষি ও প্রাকৃতিক সম্পদকে রক্ষার আবেদন করছি।
সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌস বলেন, হাতিয়াকে রক্ষার জন্য বেড়িবাঁধ নির্মাণে তিনি সংসদে কথা বলেছেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, সচিবের সঙ্গে দেনদরবার করছেন এবং প্রয়োজনে তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করবেন।
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খুরশিদ আলম খান জানান, তিনি ইতিমধ্যে খবর জেনেছেন, পর্যালোচনা করে হাতিয়ার প্লাবিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে কী প্রয়োজন তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
হাতিয়ার ইউএনও রেজাউল করিম জানান, বঙ্গোপসাগর ও মেঘনা নদী উত্তাল থাকায় ঢাকা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও ভোলার সঙ্গে নৌচলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখন কার্যত হাতিয়া উপজেলা সারা দেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd