মালেকের পেছনে কারা

প্রকাশিত: ৩:০১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০

মালেকের পেছনে কারা

Manual1 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক থেকে বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক! আবদুল মালেক বাদলের সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার কাহিনি যেন রূপকথার গল্পকেও হার মানায়। ব্যাপক প্রভাব-প্রতিপত্তির কারণে স্বাস্থ্য খাতের অনেকে তাকে ‘ছায়া ডিজি’ বলেও ডাকত। সাবেক এক মহাপরিচালকের ‘পালিত পুত্র’ হিসেবেও ছিল তার পরিচিতি। কারা, কীভাবে আর কেন একজন গাড়িচালকের হাতে ‘সোনার ডিম’পাড়া হাঁসটি তুলে দিয়েছিল, ক্রমে প্রকাশ্য হচ্ছে সেই চমকপ্রদ তথ্য। মূলত ‘স্বাস্থ্য খাতের’ মধুভোগীরাই রয়েছে মালেকের অবিশ্বাস্য উত্থানের নেপথ্যে। এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুষ্টচক্রের সদস্যদের নাম প্রকাশ করেছেন মালেক। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন এই খাতের রাঘববোয়াল। সাবেক দুই ডিজির সঙ্গে বিশেষ সখ্য ছিল মালেকের। তাদের গাড়িচালকও ছিলেন তিনি। মালেককে গ্রেপ্তারের সূত্র ধরে শিগগিরই স্বাস্থ্য খাতের আরও কয়েকজন দুর্নীতিবাজ আটকা পড়তে পারেন গোয়েন্দা জালে। গতকালই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মালেককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, মালেকের সঙ্গে আরও অনেকের যোগসাজশ ছিল। র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

গত রোববার র‌্যাব-১-এর একটি দল গাড়িচালক মালেককে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। অবশ্য এর আগেই তার অপকর্ম আর সম্পদের অনুসন্ধান চালাতে থাকেন গোয়েন্দারা। সেখানে মালেকের যে সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে বিস্মিত সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা। গাড়িচালক পরিচয়েই টাকার কুমির বনে গেছেন মালেক। অবৈধ অস্ত্র ও জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় করা পৃথক দুই মামলায় গতকাল মালেকের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

তদন্তের সঙ্গে যুক্ত একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তারের পর মালেক স্বাস্থ্য খাতের আরও কয়েকজন দুর্নীতিবাজের নাম ফাঁস করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন শাহজাহান ফকির। বর্তমানে তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের একান্ত সহকারী (পিএ) হিসেবে কর্মরত। বিভিন্ন সময় আরও একাধিক মহাপরিচালকের পিএ ছিলেন ফকির। নামে-বেনামে অনেক সম্পদ গড়েছেন তিনিও। তার দৃশ্যমান আয়ের সঙ্গে সম্পদের ফারাক অনেক। ময়মনসিংহের গ্রামের বাড়িতে নির্মাণ করেছেন বহুতল ভবন। ফকিরের এত সম্পদ থাকার বিষয়ে বিশদ অনুসন্ধান চলছে।

এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কবির হোসেন চৌধুরীর নাম ফাঁস হয়েছে। নাম এসেছে জাহাঙ্গীর আলম নামে আরও একজনের। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মজিবুল হক মুন্সি ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর তোফায়েল আহমেদ ভুঁইয়ার বিষয়েও। এ ছাড়া স্বাচিপ ও বিএমএর বেশ কয়েকজন নেতার নাম বলেছেন মালেক, যাদের ব্যবহার করে তিনি অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতের আরও কয়েকজন রাঘববোয়ালের নাম ফাঁস করেছেন মালেক। যারা অনেক দিন ধরেই এ খাত থেকে নানাভাবে লাভবান হয়ে আসছিলেন।

তদন্ত-সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে মালেক জানিয়েছেন, তিনি নিয়োগ-বাণিজ্য করেই সবচেয়ে বেশি অর্থ কামিয়েছেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মচারী সমিতি ও চালক সমিতির নিয়ন্ত্রণ তার হাতে ছিল। নিয়োগ-বদলি বাণিজ্য ছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যে কোনো অনুষ্ঠানের আলোকসজ্জা বা অন্যান্য ডেকোরেশনের কাজও তার পছন্দমতো হতো। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেছিল টাস্কফোর্স। ওই সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজদের তালিকায় মালেকের নাম ছিল। তখন কিছুদিনের জন্য তিনি গা-ঢাকাও দেন।

তদন্ত-সংশ্নিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, মালেক অষ্টম শ্রেণি পাস হলেও অত্যন্ত চতুর ও ধূর্ত। যে কর্মকর্তাকে যা দিয়ে খুশি করলে কাজ উদ্ধার হবে, সেটাই তিনি করতেন। অনেক সময় নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করতে ‘নারীদের’ ব্যবহার করতেন মালেক।

সূত্র জানায়, মালেক ১৯৮২ সালে সাভারে একটি স্বাস্থ্য প্রকল্পে গাড়িচালক হিসেবে যোগ দেন। দুই বছর পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলে তার চাকরি স্থায়ী হয়। এরপর প্রেষণে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে গাড়িচালক হিসেবে বদলি হন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত কাগজে-কলমে সেখানেই তিনি গাড়িচালক ছিলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক শাহ মনিরের আমলে মূলত তার উত্থান। নানা সময় বিভিন্ন ডিজির গাড়ি চালিয়েছেন। সর্বশেষ চালিয়েছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েতের গাড়ি। এর আগে চালিয়েছেন সদ্য সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদের গাড়ি। দু’জনের সঙ্গেই মালেকের বেশ সখ্য ছিল।

Manual4 Ad Code

জিজ্ঞাসাবাদে মালেক জানান, সাবেক ডিজি শাহ মনিরের আমলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১০০ জনের বেশি জনবল তার সুপারিশে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রতিজনের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কর্মরত কোনো কর্মীর সন্তানের চাকরি দরকার হলে অনেক সময় তারা মালেকের শরণাপন্ন হতেন। তাকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করতে পারলে চাকরি হয়ে যেত। শুধু অন্যদের চাকরি নয়, মালেক তার নিজের মেয়ে, জামাতা, ভাই, ভাতিজাসহ স্বজনদেরও নানা পদে চাকরি দিয়ে পুরো অধিদপ্তরকেই যেন পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন।

Manual2 Ad Code

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি শাহ মনির গতকাল রাতে সমকালকে বলেন, ‘১০ বছর আগে আমি মহাপরিচালক ছিলাম। তখন কেউ মালেকের দুর্নীতির ব্যাপারে কোনো তথ্য আমাকে দেয়নি। তখন সে মতিঝিল কলোনিতে থাকত বলে জানতাম।’ সে সময় নিয়োগের ক্ষেত্রে মালেকের প্রভাব বিস্তারের বিষয়ে শাহ মনির বলেন, নিয়োগের জন্য কমিটি থাকে। মালেকের কোনো প্রভাবের কথা আমার জানা নেই। আমার সঙ্গে এ ব্যাপারে কখনও তার কথাও হয়নি।

এর আগে রোববার স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত সমকালকে জানান, চার বছর ধরে মালেক তার গাড়ি চালিয়ে আসছেন। তবে তার অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর তার কানে আসেনি।

তদন্ত-সংশ্নিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত তুরাগের দক্ষিণ কামারপাড়ায় রমজান মার্কেটের উত্তর পাশে ছয় কাঠা জায়গার ওপর সাততলার দুটি আবাসিক ভবন তৈরি করেছেন মালেক, যার নাম ‘হাজী কমপ্লেক্স’। এ দুটি ভবনে ২৪টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এর একটি ভবনের তৃতীয় তলার এক আলিশান ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। বাকি ফ্ল্যাটগুলো ভাড়া দিয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় মালেকের আরও ১০ থেকে ১২ কাঠা জায়গা রয়েছে। এর মধ্যে ধানমন্ডি মৌজার হাতিরপুল এলাকায় সাড়ে চার কাঠা জমিতে ১০ তলা ভবন নির্মাণাধীন। তার বড় মেয়ে বেবির নামে দক্ষিণ কামারপাড়া এলাকায় ১৫ কাঠা জায়গার ওপর গড়ে তুলেছেন একটি গরুর খামার। ‘ইমন ডেইরি ফার্ম’ নামে ওই খামারে অন্তত ৫০টি বাছুরসহ গাভি রয়েছে। শিগগিরই মালেকের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা হচ্ছে। এরপর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি আনুষ্ঠানিকভাবে দেশে-বিদেশে মালেকের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করবে।

Manual8 Ad Code

বাড়িতে রাজকীয় সাজ: মালেকের বাড়ির পরতে পরতে রয়েছে আভিজাত্যের ছাপ। সদর দরজায় চোখ-ধাঁধানো শাহি নকশা। তুরাগের বামনারটেকে সাততলা বাড়ি, নাম হাজী কমপ্লেক্স। সামনে কাঠাদশেক খালি জায়গা। এলাকায় তিনি পরিচিত মালেক নামে। হাজী কমপ্লেক্সের তিনতলায় তার পরিবারের বাস। সেই আলিশান নকশাখচিত দরজা। বাসার ভেতরে দামি আসবাব ও ফিটিংস। অবশ্য তার পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন- মালেকের বিরুদ্ধে করা মামলা মিথ্যা। সম্পদের বিবরণীও ভুল। তার বেশিরভাগ সম্পদ উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া।

হাতিরপুলে ১০ তলা বাড়ি দেখতে মানুষের ভিড়: মালেক যে হাতিরপুলের ফ্রি স্কুল স্ট্রিটে ১০ তলা বাড়ির মালিক, তা স্থানীয় কেউ জানতেন না। গতকাল গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর সেখানে স্থানীয়রা ভিড় করেন। অনেকেই বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকেন নির্মাণাধীন বাড়িটির দিকে। একজন সরকারি গাড়িচালক এতবড় বাড়ির মালিক হলেন কীভাবে- সে প্রশ্নও তোলেন কেউ কেউ।

গতকাল ২৩ নম্বর ফ্রি স্কুল স্ট্রিট রোডের ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, চার কাঠা জমির ওপর পুরো ১০ তলা বাড়ির কাজই শেষ হয়েছে। বাড়িতে বিভিন্ন ফ্ল্যাটের ভেতরের কাজ চলছিল। বাড়ির বাইরে সিমেন্ট-বালুর আস্তরণ দেওয়া হলেও রঙের কাজ বাকি রয়েছে। ১০ তলা পর্যন্ত উঠেও কাউকে পাওয়া গেল না সেখানে। নিচতলায় নির্মাণসামগ্রীর পাশাপাশি বিক্রি করা খাওয়ার পানির বেশ কয়েকটি জার পড়ে থাকতে দেখা যায়।

Manual8 Ad Code

আশপাশের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কয়েক মাস ধরে বাড়ির নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। সেখানে একজন নিরাপত্তাকর্মী ও কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক থাকেন। অবশ্য গতকাল দুপুরে তাদের কাউকেই সেখানে পাওয়া যায়নি।

২৪ নম্বর বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী মাসুদ হোসেন জানান, সকাল থেকেই নিরাপত্তাকর্মী ও নির্মাণ শ্রমিকরা ভবন থেকে পালিয়ে গেছেন। শুরুর দিকে কিছু বুঝতে না পারলেও পরে জানতে পারেন, বাড়িটি গ্রেপ্তার হওয়া গাড়িচালক মালেকের। হয়তো ভয়ে তারা পালিয়ে গেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, এত বড় বাড়ির মালিক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন গাড়িচালক, তা তারা জানতেনই না। টেলিভিশনে বিষয়টি দেখার পর তারা বাড়িটি দেখতে এসেছেন।

তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, একজন গাড়িচালক ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের মতো জায়গায় এত বড় বাড়ির মালিক হলেন কী করে! মালেকের একজন স্বজন নাম প্রকাশ না করে সমকালের কাছে দাবি করেছেন, ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের ওই চার কাঠা জায়গা মালেকের পৈতৃক সম্পত্তি। মালেক সেখানে বাড়িটি তৈরি করছিলেন। তবে ফ্ল্যাটের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তার ওয়ারিশদের সঙ্গে ঝামেলা হওয়ায় সেটি নিয়ে মামলা চলছে। এ জন্য নির্মাণকাজও বন্ধ রয়েছে। তবে ওই বক্তব্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি। মালেকের বাবার বিস্তারিত পরিচয় বা এত টাকার সম্পদের মালিক হলেন কীভাবে, তাও বলতে পারেননি ওই স্বজন।

রিমান্ড আবেদনে যা বলা হয়েছে: র‌্যাব রোববার রাতে মালেককে তুরাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। গতকাল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তুরাগ থানার এসআই রুবেল শেখ আবদুল মালেককে আদালতে হাজির করে দুই মামলায় সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মালেক স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের গাড়িচালক। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ সরকারি গাড়িচালক সমিতির সভাপতি হিসেবে ২০-২৫ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি তার কর্মস্থলে খুবই প্রভাবশালী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকার ব্যবসাসহ নিজ কর্মস্থলে সাংগঠনিক পদবিকে কাজে লাগিয়ে বদলি ও নিয়োগ-বাণিজ্য করে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ বিত্তবৈভবের মালিক হন। মামলার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের উৎস, জাল টাকার উৎস, পলাতক আসামিদের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা সংগ্রহসহ গ্রেপ্তারের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে মালেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হোক। তবে মালেকের আইনজীবী জি এম মিজানুর রহমান বলেন, আইনে আসামিকে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করার কথা থাকলেও তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। গভীর রাতে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। কিন্তু তার ক্ষেত্রে এটা মানা হয়নি। পুলিশ যে আলামত উদ্ধারের কথা বলছে, তা তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়নি। তাকে মামলায় সম্পৃক্ত করার কারণ তিনি স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের ডিজির গাড়িচালক। এ জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের কিছু লোক তাকে মামলায় ফাঁসিয়েছে। এ ছাড়া আসামি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। কভিড-১৯-এ আক্রান্ত ছিলেন। তাকে রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন। সূত্র-সমকাল

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

September 2020
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..