সিলেট ৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:২২ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : কানাডার সিটিজেন ডিভোর্স ও সন্তানহীন নারীর জন্য পাত্র চাই : জাতীয় দৈনিকে এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা করে ৩০ কোটিরও বেশি টাকা হাতিয়ে নেয় সাদিয়া জান্নাত ওরফে জান্নাতুল ফেরদৌস (৩৮)। শিক্ষাগত যোগ্যতা মাত্র এসএসসি পাস হলেও প্রতারক জান্নাতের কথাবার্তা ও স্মার্টনেস দেখে মনে হয় উচ্চ শিক্ষিত। তাকে দেখতে বিদেশি নাগরিকের মতো। তার খপ্পরে পড়ে কোটি টাকা খোয়া গেছে অনেকেরই।
দীর্ঘ ১১ বছর ধরে সাদিয়া জান্নাত পত্রিকায় এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে এসব টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে জান্নাতুল ফেরদৌসকে গ্রেফতার করে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অভিযানে তার কাছ থেকে ভুক্তভোগীদের অনেক পাসপোর্ট, ১০টি মোবাইল ফোন, ৩টি মেমোরি কার্ড,
৭টি সিল, অসংখ্য সিম প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের একটি হিসাব বই উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রেজাউল হায়দার।
তিনি আরো বলেন, এ বছরের ৯ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, কানাডার সিটিজেন, ডিফোর্স, সন্তানহীন, বয়স ৩৭, ৫.৩ ফুট লম্বা, নামাজি পাত্রীর জন্য ব্যবসার দায়িত্ব নিতে আগ্রহী বয়স্ক পাত্র চাই। যোগাযোগের জন্য ঠিকানা বারিধারা। এরপর একটি মোবাইল নম্বর দেয়া হয়। এভাবেই সে ২০১০ সাল থেকে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। সে তার প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় স্বামীকে নিয়ে এই প্রতারণার ব্যবসা করে। এর প্রতারণার মাধ্যমে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় ২০ কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পেয়েছে সিআইডি। সিআইডি কর্মকর্তা আরো জানান, বিজ্ঞাপন দেখে নাজির হোসেন প্রতারক জান্নাতের ফোনে যোগাযোগ করেন। এক পর্যায়ে গত ১২ জুলাই গুলশান-১ থাই সিগনেচার রেস্টুরেন্টে দেখা করেন। সেখানে নাজির হোসেনকে বলা হয়, বিয়ের পর কানাডা নিয়ে যাবে এবং ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা দেখভাল করতে হবে। জান্নাতের এসব কথা বিশ্বাস করে প্রাথমিকভাবে ১ লাখ ৫০ হাজার নগদ টাকা ও পাসপোর্ট দেন। কিছু দিন পর প্রতারক জান্নাত জানান, কানাডায় প্রচ- শীত তাই টাকা সেখান থেকে দেশে আনা হবে। দেশেই ব্যবসা করতে হবে। ডিএইচএন এর মাধ্যমে ওই টাকা ফেরত আনতে নাজিরের কাছ থেকে ট্যাঙ্, ভ্যাট ও ডিএইচএল বাবদ সর্বমোট ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
এসব টাকা নিয়ে জান্নাতুল তার সকল ফোন বন্ধ করে গা ঢাকা দেয়। এভাবে জান্নাতুল অসংখ্য সিম ব্যবহার করত। আর টাকা নেয়া হলে সে উল্টো ভুক্তভোগীদের হুমকি দিত। এ চক্রের আরো সদস্যদের ধরার চেষ্টা চলছে বলে জানান সিআইডি কর্মকর্তা।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd