সিলেট ৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং পিয়াইন নদী নিয়ে অপ-প্রচার চালানোর বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। এই অপপ্রচারের স্থানীয় প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এমন ভুল তথ্যে সংবাদ প্রকাশ হওয়াতে দেশের একটি শীর্ষ পর্যায়ের পত্রিকা থেকে মানুষের আস্তা হারিয়ে ফেলছে।
জাতীয় ওই পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে ‘‘একটি বড় বলগেট বোঝাই করতে চাঁদা নেয়া হয় দেড় হাজার এবং ছোট নৌযানে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। এখানেই শেষ নয়, উপজেলা পরিষদের ট্যাক্সের নামেও আছে চাঁদাবাজি। এখানে প্রতি বলগেট থেকে ১২০০ এবং ছোট নৌযান থেকে ৮০০ টাকা নেয়া হয়। এ সময় চাঁদার টাকা সংগ্রহ করে বস্তায় ভরে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেয়া হয়। নিয়ন্ত্রণ করেন জাফলংয়ের অপরাধ জগৎ। এমনকি গভীর রাতে নদীতে বোমামেশিন চালানোর সময় সাংবাদিকদের নজরদারি এড়াতে এক থেকে দেড়শ’ উঠতি বয়সী যুবককে সশস্ত্র পাহারায় রাখা হয়। তাদের হাতে থাকে লম্বা দেশীয় ধারালো অস্ত্র। বিনিময়ে তাদের দেয়া হয় ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা।
কিন্তু ২০১৭ সাল থেকে জাফলংয়ে কোন বোমা মেশিন দিয়ে বালু-পাথর উত্তোলন হচ্ছে না। এসকল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে স্থানীয় প্রশাসনের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। এছাড়া সংবাদে বলা হয়েছে বড় বলগেট দিয়ে বালু বোঝাই করা হয়। বলগেট যাতায়াতের মতো পানি নদীতে নেই। তাহলে বলগেট কি করে যাতায়াত ককে? এ নিয়ে দেখা দিয়েছে নানাবিধ প্রশ্ন। তাছাড়া জাফলং এলাকায় প্রতিনিয়িত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন আসা-যাওয়া করেন। কেউ কাউকে কোন ধরণের বাধা প্রধান করেনি। বরং এই এলাকার ছেলেরা সাংবাদিকদ এবং প্রশাসনের সকল কাজে সহযোগীতা করেন।
স্থানীয় প্রশাসন সর্বদা সবসময় বালু-পাথরের বিষয়ে সচেতন রয়েছেন। তাদের সচেতনতায় অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোন করতে গিয়ে প্রশানের হাত থেকে রক্ষা পায়নি অসহায় চার নারী শ্রমিক। সেই এলাকায় বোমা চালাবে কি করে। জাফলং পিয়াইন নদী থেকে প্রতিদিন কিছু সংখ্যক অসহায় শ্রমিকরা বালু-পাথর উত্তোলন করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। এখানে কোন বোমা-বলগেট আসবে কোথায় থেকে। শ্রমিকদের পেটে লাথি দিতে একটি মহল সর্বদা তৎপর রয়েছে। সম্পতি পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের পিয়াইন নদী থেকে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বালু উত্তোলন করা হয়েছিলো। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ৫জন বালু খেকোকে আটক করেন এবং তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর থেকে এই নদীতে বালু উত্তোন বন্ধ হয়ে যায়। বিজ্ঞপ্তি
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd