ছাতকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন ইস্যুতে কেঁচো খুড়তে সাপ

প্রকাশিত: ১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২, ২০২০

ছাতকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন ইস্যুতে কেঁচো খুড়তে সাপ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের ছাতকে জাহিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি গঠন ইস্যুতে কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে আসছে। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি গঠনে বাঁধা, একক আধিপত্য বিস্তার, তিন মেয়াদ ধরে বিদ্যালয়টি এডহক কমিটি দিয়ে পরিচালনা, নিন্ম মানের পাঠদান ও ফ্যাসিলিটি বিভাগ হতে প্রাপ্ত বিদ্যালয়ের ১১ লাখ টাকার কোন হদিস মিলছেনা এবং বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালিকের বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয় ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে এলাকাবাসীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জাহিদপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সর্ব সম্মতিক্রমে আলহাজ্ব আফরোজ আলীকে প্রতিষ্টাতা সদস্য হিসাবে মনোনিত করা হয়। ১৯৯৯/২০০০ অর্থ বছরে বিদ্যালয়টি নি¤œ মাধ্যমিক এমপিও ভুক্ত হয় এবং ২০০৪ সালে মাধ্যমিক স্বিকৃতি লাভ করে। ২০০৬ সাল থেকে বিদ্যালয়ের নামে ছাত্র/ছাত্রীরা এসএসসি পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করছেন। এলাকার জাহিদপুর, মোহাম্মদপুর, রামপুর, আলমপুর, ভাওয়ালসহ ৭/৮টি গ্রামের প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী এই বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করছে। বিদ্যালয়ে এমপিও ভুক্ত শিক্ষক ৫ জন ও খন্ডকালীন ২ জন এবং ২ জন কর্মচারী রয়েছেন।  ১৯৯৭ সাল থেকে প্রধান শিক্ষক হিসাবে মো. আব্দুল মালিক দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
১৯৮৫ ইং সনে জাহিদপুর গ্রামের মৃত. হাজী ইয়ারিছ আলীর ছেলে চমক আলী জাহিদপুর মৌজা স্থিত জেএল নং-৪৪৮, এস এ খতিয়ান নং- ৪৭,৫৩, দাগ নং-৪৯৬৪, ৪৯৬০  মোট ৭৫ শতাংশ ভৃমি ৯৪৫৩ নং দলিল মুলে বিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষে  শর্ত স্বাপেক্ষে ডেপুটি কমিশনার সুনামগঞ্জ বরাবর হস্থান্তর করা হয়। হস্তান্তরিত দলিলে উল্লেখিত শর্তাবলীতে এলাকাবাসী অসন্তোষ্ট হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ ইং সনের ১৭ ডিসেম্বর শর্তহীন ভাবে ৭৩০৪ নং সংশোধনী দলিল সম্পাদন করে দেন চমক আলী। স্থানীয়রা জানান, তৎকালীন সময়ে এলাকারবাসীর মতামতের ভিত্তিতে বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য যাবতীয় খরছ বহন করেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাজী আব্দুল কাদির। তার পিতা হাজী আফরোজ আলীকে বিদ্যালয়ে প্রতিষ্টাতা সদস্য স্বিকৃতির অনুরোধ জানান। তৎসময়ে এলাকাবাসী সর্বসম্মতি ক্রমে হাজী আফরোজ আলীকে প্রতিষ্টাতা সদস্য মনোনিত করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষে হস্তান্তরিত সমপরিমান ভূমির মালিক চমক আলী না থাকার কারনে পরবর্তীতে আবারো বিভ্রান্তি স্মৃষ্টি হয়। পরে খোঁজ খবর নিয়ে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ জানতে পারেন এস এ খতিয়ান নং-৪৬, ৫২, ৪৭, ৫৩, দাগ নং-৪৯৬৪ পরিমান ১ একর ৬ শতাংশ ভূমি সরকারী খাস খতিয়ান ভুক্ত রয়েছে। কিন্ত এরই মধ্যে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি আজব আলীর যোগসাজসে ভূমি দাতা সদস্য চমক আলীর অবর্তমানে তার ছেলে মো. নুর উদ্দিন নিজেকে প্রতিষ্টাতা সদস্য দাবী করলে স্থানীয়দের মধ্যে  উত্তেজনা দেখা দেয়।
এ ঘটনায় মো. নুর উদ্দিন ২০১২ সালে সহকারী জর্জ আদালত, ছাতক, সুনামগঞ্জ স্বত্ত মোকদ্দমা নং-৪৯/২০১২ দায়ের করেন। এতে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির তৎকালিন সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, সচিব ও  প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালিককে আসামী করা হয়। দীর্ঘ শুনানী শেষে ২০১৪ সালের ২০ মে বিজ্ঞ আদালত এই মামলাটি খারিজ করে দেন। আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন অ্যাডভোকেট স্বপন কুমার দাস রায়।
জাহিদপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্টা লগ্নে ০১.০১.১৯৯৪ ইং তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, কুমিল্লা, উপ-পরিচালক স্বাক্ষরিত পরিদর্শন বিবৃতি ফরম পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, আলহাজ্ব আফরোজ আলীর নাম প্রতিষ্টাতা সদস্য ও চমক আলীর নাম দাতা সদস্য হিসাবে উল্লেখ রয়েছে। ১৯৯৭ ইং সনের ২৮ মে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, কুমিল্লা, উপ-পরিচালক স্বাক্ষরিত গঠিত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি জারী পত্রেও আলহাজ্ব আফরোজ আলীর নাম প্রতিষ্টাতা সদস্য ও চমক আলীর নাম দাতা সদস্য হিসাবে রয়েছে। অনুরূপ ভাবে পরবর্তী সময়েও রয়েছে। ২০০৫ সালের ২৫ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সিলেট, বিদ্যালয় পরিদর্শক স্বাক্ষরিত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি অনুমোদন পত্রে দেখা যায়, প্রতিষ্টাতা সদস্য আলহাজ্ব আফরোজ আলীর অবর্তমানে তার ছেলে ডা: মো. আব্দুল খালিককে প্রতিষ্টাতা সদস্য ও চমক আলীর নাম দাতা সদস্য হিসাবে উল্লেখ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পরবর্তী সময়ে জাহিদপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা (এডহক) কমিটির সভাপতি হন আজব আলী। ১৮.০৯.২০১৮ ইং তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেট, বিদ্যালয় পরিদর্শক স্বাক্ষরিত কমিটি অনুমোদন পত্রে দেখা যায়, উল্লেখ রয়েছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একটি নিয়মিত ম্যানেজিং কমটি গঠন করতে হবে, ব্যর্থতায় পুনরায় এডহক কমিটি গঠনের অনুমতি দেওয়া হবেনা। স্থানীয়দের অভিযোগ সে ক্ষেত্রেও আজব আলী সভাপতি হতে পারবেন না জেনে তিনি নিয়মিত কমিটি গঠনে ব্যর্থ হন। এর আগে আজব আলীর সহুদ ভাই আরজ আলী বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন। তিনি সভাপতি থাকা অবস্থায় বিদ্যালয়ের বেশ কিছু গাছ কেটে বিক্রি করার মাধ্যমে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের পাল্টা অভিযোগও উঠেছে।
কিন্ত স্থানীয়রা আজব আলীর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নারাজ। তিনি  বিভিন্ন সময়ে কৌশলে পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে ছবি তোলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট কওে থাকেন। পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে বলে স্থানীয় ভাবে প্রভাব বিস্তার করে থাকেন। কখনো নিজেকে সরকারী দলের প্রভাবশালী নেতা পরিচয়ে ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের নাম ভাঙ্গিয়ে নিরীহ লোকজনকে হয়রানী ও সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করারও অভিযোগ উঠেছে আজব আলীর বিরুদ্ধে। বিগত সময়ে আলমপুর গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে প্রতারনা করার দায়ে স্থানীয় গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে আজব আলীকে অবরোদ্ধ করে রাখা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহযোগীতায় আজব আলীকে উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিতর্কিত ও নিরক্ষর আজব আলীকে পরবর্তী সময়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি না করায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে এই অঞ্চলের বাতিঘর বিদ্যালয়টি ধবংসের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ কতৃক কাজটি টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান সম্পন্ন করেছে। সেই সময়ে এডহক কমটির সভাপতি হিসাবে আজব আলী ও আহবাব উদ্দিন দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ কর্তৃক গৃহীত বিদ্যালয়ের কাজটি ঠিকাদারের সঙ্গে আলোচনাসহ তদারকি করেছেন তৎসময়ে এডহক কমিটির সভাপতি আজব আলী।
এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেট, সহকারি বিদ্যালয় পরিদর্শক কতৃক  ৩১.০৫.২০২০ ইং তারিখে স্বাক্ষরিত স্মারক নংঃ সিশিবো/বিদ্যা/মাধ্য/কমিটি/সুনাম/২০২০/৪২৫ মুলে দুই বছর মেয়াদের জন্য জাহিদপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি অনুমোদন লাভ করেছে। এতে উল্লেখ রয়েছে, বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্টানের গভণিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা ২০০৯’এর ২৯(৩) ধারানুযায়ী বিদ্যালয়ের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হলো। এই কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন মো. গয়াছ মিয়া ও  প্রতিষ্টাতা সদস্য হাজী আফরোজ আলীর অবর্তমানে তার ছেলে ডাঃ আব্দুল খালিকের নাম প্রতিষ্টাতা সদস্য উল্লেখ রয়েছে।
অপরদিকে এ ঘটনায় বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ শুরু করার পর আজব আলী তার সঙ্গীয় পেটুয়া বাহীনি নিয়ে শনিবার (১৮ জুলাই) এ প্রতিবেদকের গ্রাম সংলগ্ন ধারন বাজারে এসে প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে অশালীন ও মানহানীকর মন্তব্য করেন। এমনকি এ প্রতিবেদককে দেখে নেওয়ারও হুমকি প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী আয়েশা বেগম, ৮ম শ্রেনীর ছাত্র সাকিব আলী, ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী সুমাইয়া বেগম, সুমি বেগম ও ১০ম শ্রেনীর ছাত্র আমিনুল হকসহ একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রধান শিক্ষক জনাব মো. আব্দুল মালিক স্যার নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বলেন, শুনেছি আজব আলী সহ কয়েকজন আমার নিকট একটি সভার দাওয়াত নিয়ে এসেছিলেন। তাদেরকে আমি বলেছি, এই প্রতিষ্টান এলাকার বাতিঘর। এখানে পড়াশুনা করে আমাদের সন্তানরা তাদের আলোকিত ভবিষৎ নির্মান করছে। তিনি আরো বলেন, সেই সময়ে পৃথক দু-মেয়াদে তারা সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন কেন তারা অভিযোগ করেননি ? এ ছাড়াও একজন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উচ্চ পর্যায়ে অভিযোগটি করার আগে এলাকাবাসীকে অবগত করা উচিৎ ছিল বলে তিনি মনে করেন।
জাহিদপুর পুরান বাজারের ফার্ণীচার ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন বলেন, কমিটি যেদিন ঘটন করা হয় আমি উপস্থিত ছিলাম। এলাকবাসী সর্বসম্মতিক্রমে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। আজব আলী ও তার সহুদ ভাই তারা পৃথক দুই মেয়াদে সভাপতি ছিলেন। তারা আবার সভাপতি  হতে চেয়েছিলেন। কিন্ত এরাকাবাসী তাদেও আচরনে অতিষ্ট হওয়াতে সভাপতি করেনি। তাই তারা প্রতিষ্টান ধবংসের ষড়যন্ত্র করছেন। এরাকার বাতিঘর এই বিদ্যালয়টি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান তিনি।
রামপুর গ্রামের বিশিষ্ট মুরব্বি আরজু মিয়া বলেন, এলাকাবাসী বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন করেছেন।
চমক আলীর ছেলে মো. নুর উদ্দিন বলেন, আমি উচ্চ আদালতে অ্যাপিল করেছি।
বিদ্যালয় পরিচালনা সাবেক (এডহক) কমিটির সভাপতি আজব আলী বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আহবাব উদ্দিন, আজিজুর রহমান ও আমি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের পক্ষে ছাতক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
বিদ্যালয়ের বর্তমান পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য রাজ্জাক আলী ও আব্বাস আলী বলেন, এলাকাবাসী সর্বসম্মতিক্রমে নিয়ম নীতি অনুযায়ী কমটি গঠন করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালিক বলেন, আমি নিয়মিত ভাবে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালন করছি। ফলাফল সংক্রান্ত বিষয়টি শুধুমাত্র অত্র বিদ্যালয়ের নয় উপজেলার ১ টি কেন্দ্রে প্রতিটি বিদ্যালয়ে আশানুরূপ ফলাফল কেউই অর্জন করতে পারেননি। বিগত সময়ে ৮০ ভাগের উপরে ফলাফল এসেছে।
বিদ্যালয়ের বর্তমান পরিচালনা কমটির সভাপতি মো. গয়াছ মিয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ ও এলাকবাসীর সর্বসম্মতিক্রমে পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২০০৯ এর প্রবিধানমালা অনুযায়ী গত ৩১ মে কতৃপক্ষ কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন।
ছাতক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষাকর্মকর্তা পুলিন চন্দ্র রায় বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। করোনা পরিস্থিতি ও পর পর তিন বার বন্যা। যে কারনে আমরা বিভিন্ন প্রশিক্ষন কার্যক্রম অনলাইনে অব্যাহত রেখেছি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..