সিলেট ১৩ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:২৬ অপরাহ্ণ, মে ২৩, ২০২০
সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম’র বরাবরে কানাইঘাট থানায় কর্মরত পুলিশের এএসআই মোঃ শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার আসামী পিতা কর্তৃক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানীর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সাজানো অভিযোগ দিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপ্রপচার চালানো হচ্ছে বলে এএসআই শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের দনা পাতিছড়া গ্রামের মৃত সাজ্জাদ আলীর পুত্র আব্দুল মতিন সীমান্ত এলাকায় একজন চিহ্নিত চোরাকারবারী। তার পুত্র সেলিম (১৯) একজন চোরাকারবারী, সে কানাইঘাট থানার মামলা নং- ২৩, তারিখ- ৩০/০১/২০২০ইং সনের ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার আসামী। উক্ত বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলাটি দনা বিজিবি ক্যাম্পের কর্মকর্তা বাদী হয়ে চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে আব্দুল মুতিনের ছেলে সেলিম সহ এলাকার অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে উক্ত মামলার আসামীদের নাম-ঠিকানা যাচাই করার জন্য গত ১২/০৫/২০২০ইং তারিখে এএসআই শফিকুল ইসলাম সরেজমিনে আব্দুল মতিনের বাড়িতে তদন্তে যান। তদন্তকালে আব্দুল মতিন ও তার পরিবারের লোকজন এএসআই শফিকুল ইসলামের উপর চড়াও হয়ে হামলার চেষ্টা করে এবং তারা পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ ঘটনায় তিনি থানায় আব্দুল মতিন সহ আরো ৩ জনের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়য়রী করেন, জিডি নং- ৫০৩, তারিখ- ১২/০৫/২০২০ইং।
বিশেষ ক্ষমতা আইন মামলার আসামী সেলিমকে গ্রেফতার করতে পুলিশ এলাকায় অভিযান চালায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার পিতা সীমান্ত এলাকার চিহ্নিত চোরাকারবারী আব্দুল মতিন এএসআই শফিককে হয়রানী করার জন্য বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে গত ১৮ মে সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে এএসআই শফিকুল হক, মোটর সাইকেল চালক পুলিশকে সহায়তাকারী উজানবারাপৈত গ্রামের ইফজালুর রহমান ও ফিরোজ আহমদের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত অভিযোগের ্পর থেকে আব্দুল মতিন ও তার সহযোগীরা এএসআই শফিকের বিরুদ্ধে নানা ভাবে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে আব্দুল মতিন ও তার সহযোগীরা এলাকায় যারা চোরাচালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন তাদের নামে পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে এভাবে অনেককে বাদী বানিয়ে সাজানো অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করে থাকে বলে অনেকে জানিয়েছেন। প্রসজ্ঞত যে, কানাইঘাট থানায় যোগদানের পর থেকে এএসআই শফিকুল ইসলাম অনেক দুধর্ষ অপরাধীকে গ্রেফতার ও মাদক, চোরকারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে কর্মদক্ষতা স্বরূপ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুরষ্কৃত হন। বিজ্ঞপ্তি
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd