সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:১৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার :: তাস খেলা নিয়ে মাত্র ১শ’ টাকার জন্য খুন করা হয়েছিল সেলিম মিয়াকে। গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছে খুনের দায়ে অভিযুক্ত শেখ মনির ওরফে কালা মনির (২৪)।
শনিবার (১৭ নভেম্বর) রাতে কোতয়ালী থানার এসআই ইবায়দুল্লাহ ও জীবন কর্মকার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর কাস্টঘর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মনির গোলাপগঞ্জ উপজেলার কতোয়ালপুর গ্রামের শেখ খলিল মিয়ার ছেলে।
এডিসি মিডিয়ার জিদান আল মুসা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ৭ নভেম্বর নগরীর কাস্টঘর এলাকার একটি ভবনের ছাদে ৭/৮ জন জুয়ার আসরে বসে। তাদের মধ্যে ১শ’ টাকা নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সেলিম মিয়াকে উরুতে ছুরিকাঘাত করা হয়। গুরুতর অবস্থায় ভবনের ছাদ থেকে নেমে রাস্তায় পড়ে যান সেলিম।
এক পর্যায়ে টহলে থাকা পুলিশের সদস্যরা অজ্ঞাত হিসেবে তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরদিন ৮ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় ৬ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনকে আসামি দিয়ে মামলা (নং-১৯(১১)১৯) দায়ের করেন নিহতের বাবা বাবা ইসমাইল আলী। এজাহার নামীয় আসামিরা হলেন-সদর উপজেলার বাদাঘাটের বাচ্চু মিয়ার ছেলে ডালিম মিয়া(২৯), নগরীর দাড়িয়াপাড়ার আব্দুর রউফের ছেলে সুমন ওরফে লালগুটি সুমন (২২), নগরীর ঘাসিটুলা বেতেরবাজার এলাকার আনোয়ার (২৮), বোরহান (৩০), রাজু (২৯), মনির ওরফে কালা মনির (৩৪)।
পুলিশ জানায়, লক্ষিপুর জেলা সদরের বাসিন্দা নিহত সেলিম স্বপরিবারে নগরীর কানিশাইল এলাকার আব্দুস সালামের কলোনীতে ভাড়া থাকতেন। নিহত সেলিমও গ্রেফতারকৃত মনির এবং অন্য আসামিরা ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ অপকর্ম করতো।
এসআই ইবায়দুল্লাহ আরো বলেন, গ্রেফতার হওয়া মুনির পেশাদার খুনী। তার বিরুদ্ধে গোলাপগঞ্জ থানায় ৪টি হত্যা ও মারামারির ঘটনায় আরো দু’টি মামলা রয়েছে। কোতোয়ালি থানায় এই হত্যা মামলাসহ ৩ মামলা এবং দক্ষিণ সুরমায় চুরি, ছিনতাইর ঘটনায় আরো দুটি মামলার আসামি সে।
৭ নভেম্বর সন্ধ্যা রাত সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর কাস্টঘর এলাকায় সেলিমকে (৩০) ছুরিকাহত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া বলেন, ওই যুবকের ডান পায়ে উরুতে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মরদেহ অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করে। পরে সংবাদ মাধ্যমে মরদেহের ছবি দেখে পরিবারের লোকজন আসলে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd