সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৫৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯
কালা আমীন। সিলেট শহরতলীর কান্দিগাও ইউপির মাসুক বাজার এলাকার বাসিন্দা। এলাকায় তিনি এখন বড় মাপের ছাত্রলীগ নেতা। নিজের ভাগে ভাগিয়ে নিয়েছেন জালালাবাদ থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পদটি। কালা আমিন থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হলেও তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ সে ১৯৯৯ ইংরেজি স্থানীয় মেদিনী মহল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর গন্ডিও পার হতে পরেননি। কালা আমীনের বিরুদ্ধে রয়েছে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ। সন্ত্রাসী কার্যক্রম, জায়গা দখল, মাদক ব্যবসা যেন এখন তার নিত্যদিনের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। থানা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হওয়া এলাকাবাসী তার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না।
এলাকাবাসী ছাড়াও তার অপর্কম নির্যাতন ও হামলা থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না প্রতিবন্ধীসহ স্থানীয়রা।স্থানীয়রা জানায়, এক সময় আমিনের পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরাতো। তার বাবা হাল চাষের পাশাপাশি বাজারের দিন গ্রামের ফুট-পাতে বসে নারিকেল-সুপারি বিক্রয় করতো। অথচ বর্তমানে ছাত্রলীগের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে মাদক, ডাকাতি সহ সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি দখলবাজী করে আমিন এখন লাখপতি।
এলাকায় চাঁদাবাজিসহ অভিনব কায়দায় মাদক সরবরাহ করছে বলে জানান এলাকাবাসী। তার ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না। কারন একটাই আমি ছাত্রলীগ করি,কিছু বললে থানায় ঢুকিয়ে দেব,আমি ছাত্রলীগের সভাপতি, তাও আবার জালালাবাদ থানার, এই হুমকি তার জন্য প্রচার হয়ে গিয়েছিল, বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তার বিরুদ্ধে এলাকায় জুয়া ও মাদক ব্যাবসাসহ থানায় দালালীর অনেক অভিযোগ রয়েছে।
জালালাবাদ থানার কমিউনিটি পুলিশিং উদ্যোগে মাসুকগঞ্জ বাজারে জুয়া ও মাদকের প্রতিবাদ সভায় প্রতিবন্ধী ব্যাবসায়ী মাদক ব্যাবসায়ীদের নাম উল্লেখ্য করে প্রতিবাদ করে, প্রতিবাদ করায় প্রতিবন্ধী ব্যাবসায়ী কে আগষ্ট মাসে দোকানে মাদক রেখে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করে আমিন ওরফে কালা আমিন ও তার অনুসারীরা।
ঘটনার পর স্তানীয় ইউপি সদস্য সহ ব্যাবসায়ীরা প্রতিবন্ধী ব্যাবসায়ী কে নির্দোষ দাবি করে থানায় গিয়ে পুলিশকে ঘটনা বর্ননা করে নির্দোষ প্রতিবন্ধক ব্যাবসায়ী কে তাদের জিম্মায় পুলিশ ছেড়ে দেয়। কিন্তু ঘটনায় জড়িত আমিনের সহযোগী লেংরা চুনু কে মাদক সহ আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
অভিযোগ রয়েছে, এসব সন্ত্রাসীদের ছবির পাশে শীর্ষ নেতাদের ছবি-সম্বলিত ব্যানার-ফেষ্টুন থাকায় তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও কোন ধরনের আইনী পদক্ষেপ নিতে সাহস করছে না।
সচেতন মহলের মতে, এসব অপরাধী আর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এখনি সাংগঠনিক এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়া না হলে আগামী এসব সন্ত্রাসী আরো বেশী বেপরোয়া হয়ে উঠবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd