জৈন্তাপুরে প্রতিবেশি চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজি ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৮:৫৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০১৯

জৈন্তাপুরে প্রতিবেশি চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজি ধর্ষণের অভিযোগ

Manual3 Ad Code

জৈন্তাপুরে চাচা কর্তৃক ভাতিজি ধর্ষণের ঘটনায় ২ মাস পর ১৭ আগষ্ট ভিকটিম বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় ২ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসাবে রেকর্ড করে।

Manual1 Ad Code

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- মামলার বাদী (ভিকটিম) দরবস্ত যাওয়ার জন্য রাস্তায় গাড়ীর অপেক্ষা করেন। কিছুক্ষণ পর প্রতিবেশি চাচা একটি সিএনজি গাড়ী নিয়ে এসে কোথায় যাবে জানতে চাইলে ধর্ষন মামলার বাদী (মেয়েটি) নিকটাত্মীয় খালার বাসার যাওয়ার জন্য দরবস্ত বাজারে যাবে বলে জানায়। চাচা হওয়ার সুবাধে সরল বিশ্বাসে সিএনজিতে গাড়ীতে উঠি। সিএনজি গাড়ী দরবস্ত বাজারের কানাইঘাট চতুল রাস্তার মুখে আসলে মেয়েটি গাড়ী চালক দরবস্ত ইউনিয়নের ভাইটগ্রামের মৃত ছইফ উল্লার ছেলে আবুল কালাম(৩৫) কে নামিয়ে দেওয়ার জন্য বললে লম্পট নারী লোভী চাচা এবং ইতেপূর্বে একাধিক ধর্ষন মামলার আসামী দরবস্ত ইউনিয়নের শুকইনপুর গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে রেজওয়ান মিয়া(২৫) মেয়েটির মুখে কাপড় দিয়ে চেপে ধরে। মেয়েটি চিৎকার করলে হত্যার করে মেরে ফেলার হুমকী দেয় এবং ড্রাইভারকে ভাইটগ্রামের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে। পরে দ্রুত গতিতে গাড়ী চালিয়ে ভাইটগ্রামে নিয়ে ড্রাইভারের বসতবাড়ীতে উত্তরপাশ্বের ঘরে মেয়েটিকে আটকে রাখে।

Manual5 Ad Code

পরবর্তীতে ড্রাইভার আবুল কালামের সহযোগিতায় রেজওয়ান মিয়া হত্যার হুমকী দিয়ে মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে রাত ১০টা হইতে একাধিকবার ধর্ষন করে। অপরদিকে মেয়েটির কোন খাবরা খবর না পেয়ে পরিবারের লোকজন লোক মুখে ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাটি জেনে আবুল কালামের ঘর থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় বিবাদি রেজওয়ান মিয়ার বিষয়টি প্রকাশ করলে মেয়েটিসহ তার পরিবারের লোকদের হত্যার হুমকী দেয়। ন্যায় বিচারের আশায় হুমকীর ভয়ে নিয়ে এলাকার মুরব্বিয়ানদের জানালে তারা ন্যায় বিচারের আশ্বাসদেন। পরবর্তীতে তারা মেয়েটির পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেন।

স্থানীয় বিচার না পেয়ে ন্যায় বিচারের আশায় নির্যাতিতা ঘটনার ২মাস পর গত ১৭ জুলাই বাদী জৈন্তাপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

এদিকে অভিযোগ দায়ের করার পর থানা পুলিশ বিষয়টি মামলা হিসাবে রেকর্ড করে। যাহার নং-৮/১০৪, তারিখঃ ১৮ জুলাই ২০১৯।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তির সাথে আলাপকালে তারা জানান, আমাদের মা-বোন সবার রয়েছে। রেজওয়ান মিয়া একজন লম্পট ও নারী লোভী ব্যক্তি। সে কিছুদিন পূর্বে দীর্ঘদিন জেল খেটে বের হয়ে আসে এবং পূর্বের ন্যায় আবারও ধর্ষনের এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এই ব্যক্তির দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী করছি।

Manual2 Ad Code

ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন বলেন- রেজওয়ান মিয়া এলাকায় খারাপ ব্যক্তি, ইতোপূর্বে এরকম কয়েকটি ঘটনা সে ঘটিয়েছে। সে কিছু দিন পূর্বে জেল হতে ছাড়া পায়। তারপরও রেজওয়ান মিয়া ও ভিকটিম মেয়েটি সম্পর্কে চাচা ভাতিজি হয়। আর চাচা-ভাতিজিকে ধর্ষন করবে আমরা বুঝে উঠতে পারিনি, পরবর্তীতে বিভিন্ন ভাবে যখন জানতে পারি ঘটনাটি সটিক তখন ভিকটিমকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেই। আমরা প্রশাসনের উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি।

Manual4 Ad Code

জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ মাইনুল জাকির বলেন- অভিযোগ পাওয়ার পর পর মামলা হিসাবে রেকর্ড করি এবং সেই সাথে অভিযুক্ত আসামীদের আটকের চেষ্টা করে যাচ্ছি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..