ঈদে বেপরোয়া নগরীর হোটেল বদরুলে অসামাজিক কার্যকলাপ

প্রকাশিত: ৯:৫২ অপরাহ্ণ, জুন ১০, ২০১৯

ঈদে বেপরোয়া নগরীর হোটেল বদরুলে অসামাজিক কার্যকলাপ

Manual3 Ad Code

সিলেট নগরীর সুরমা মার্কেটের হোটেল বদরুল রেষ্ট হাউজ নামক আবাসিক হোটেলে পবিত্র রমজানেও বন্ধ হয়নি তাদের দেহব্যবসা। গত ২০১৮ সালের রমজানে শুরু করেন এই হোটেলে পতিতা নারী দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ এখন আরও এক রমজান তবুও থেমে নেই তাদের অসামাজিকতা। রমজান শেষে ঈদে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

Manual5 Ad Code

জানা যায়, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নগরীর সন্ধা বাজারের পতিতালয় উচ্ছেদ করেন। এরপর ওই লোকজন দিয়েই দেহ ব্যবসা শুরু করেন নগরীর মিরাবাজার এলকার বাসিন্ধা মাহবুব করিম চৌধুরীর মালিকানাধীন মিরাবাজারে অবস্তিত হোটেল জাহান সুরমা মার্কেটে হোটেল বদরুল তার মূল ব্যবসাই হচ্ছে হোটেল ব্যবসা। এখন বর্তমানে হোটেলটি পরিচালনা করছেন সুন্দর আলী।

Manual1 Ad Code

হোটেল বদরুলের পিছনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিলেট অফিস, জেলা যুবলীগের অফিস ও গণদাবি পরিষদের প্রধান অফিস। কিন্তু কেউ তাদের এই অবৈধ ব্যবসার প্রতিবাদ করেননি।

সম্প্রতি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর- ডিসি) মো. আজবাহার আলী হোটেলে অভিযান করে পতিতাদের আটক করেন। এরপর মালিক পক্ষ থেকে হোটেল বন্ধ করার জন্য বলা হয়। দুই দিন বন্ধ থাকার পর হোটেলে সিসি ক্যমেরা লাগানো হয় এবং পুলিশের চোঁখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য হোটেলের ১৩ নং রুমে একটি দেওয়াল তৈরী করা হয়। অন্যদিকে তাদের নিচে একটি রেষ্টুরেন্ট রয়েছে এই রেষ্টুরেন্টের ভিতর একটি গোপন কক্ষ করা হয়। এখন কোন অভিযান দিলে এই গোপন স্থান গুলোতে পতিতা ও খদ্দর রাখা হয়।

Manual4 Ad Code

কিন্তু এই হোটেলের নিচ দিয়ে কোতোয়ালী থানায় প্রতিদিন আসা যাওয়া করেন নগরীর সকল পুলিশ প্রশাসন। তাদের কারো চোঁখে পড়েনি এই হোটেলের অসামাজিকতা।
এই হোটেল সূত্রে জানা যায়, তারা দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক টাকা দেওয়া হয়। যার ফলে হোটেলে কোন অভিযান দেওয়া হয়না। আর যদি অভিযান দেওয়া হয় সাথে সাথে পুলিশের মাধ্যমে অভিযানের খবর চলে যায় হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে। তাদের অসামাজিকতা বন্ধে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নগরীর সচেতন মহল।

Manual4 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..