বড়লেখায় নারী আইনজীবী খুনের ঘটনায় মসজিদের ইমাম আটক

প্রকাশিত: ৪:৪৪ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০১৯

বড়লেখায় নারী আইনজীবী খুনের ঘটনায় মসজিদের ইমাম আটক

Manual8 Ad Code

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় আবিদা সুলতানা (৩৫) নামে এক নারী আইনজীবীর হত্যার ঘটনায় স্থানীয একটি মসজিদের ইমাম মাওলানা তানভীর আলম (৩০) কে আটক করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। আবিদার বাবার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তানভীর। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দপুর দেড়টার দিকে শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিচয় গোপন রেখে উপজেলার বরুনা মাদ্রাসা এলাকার একটি গ্রাম থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সহযোগীতায় তাকে আটক করে। পরে থাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়ে। এরপর বড়লেখা থানার পুলিশের কাছে মাওলানা তানভীরকে হস্তান্তর করা হয়।

তানভীর আলম সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ময়নুল ইসলামের ছেলে। স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতির সুবাধে তানভীর পরিবার নিয়ে বড়লেখা উপজেলার চরকোনা গ্রামে বসবাস করত।

Manual2 Ad Code

শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আব্দুস ছালেক মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘নারী আইনজীবী খুনের খবর পেয়েই রাতেই বরুনা মাদ্রাসার আশপাশ এলাকায় পুলিশ অবস্থান করে। আমাদের কাছে খবর ছিল আইনীজীর বাসার ভাড়াটিয়া তানভীর ঘটনার পর পালিয়ে এসে এখানে অবস্থান করছে। সোমবার দুপুরের দিকে হুজুরের ছদ্মবেশে মাদ্রসার পাশের একটি বাড়ী থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে বড়লেখা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

রোববার রাতে আবিদা সুলতানার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামের পৈতৃক বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। আবিদা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের মেয়ে।

Manual5 Ad Code

ঘটনার পর থেকে আবিদার পৈতৃক বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়া তানভীর আহমদ পলাতক ছিলেন।

Manual5 Ad Code

আবিদা মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী। আবিদার স্বামী শরীফুল ইসলাম একটি ওষুধ কোম্পানীতে কর্মরত রয়েছেন। তিনি স্বামীর সঙ্গে মৌলভীবাজারে শহরে বসবাস করতেন।

আবিদার মা তাঁর আরেক বোনোর বাড়িতে থাকেন। ফলে তাদের বড়লেখার বাড়িটি তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকে। বাড়ির একটি একটি অংশে ভাড়া থাকতেন তানভীর আলম। রোববার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টায় আবিদা বিয়ানীবাজারে বোনের বাড়িতে থেকে জরুরী প্রয়োজনে বাবার বাড়িতে যান আবিদা। বিকেল আনুমানিক চারটার দিকে আবিদার বোন তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাচ্ছিলেন না।

Manual3 Ad Code

পরে আবিদার বোনেরা তাকে খুঁজতে বাবার বাড়ি দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামে আসেন। বাড়িতে এসে তারা কাউকে পাননি। এসময় ঘরের একটি কক্ষ তালা দেখতে পেয়ে তাদের সন্দেহ হয়। পরে তারা পুলিশ নিয়ে গিয়ে তালা ভেঙে বোনের লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।

নিহতের মাথায় ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে লাশ উদ্ধারের পর জানিয়েছিলো পুলিশ।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..