দক্ষিণ সুরমার চাঁদনীঘাট মাছ বাজারে প্রকাশ্যে চলছে জুয়া

প্রকাশিত: ৭:৫৮ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০১৯

দক্ষিণ সুরমার চাঁদনীঘাট মাছ বাজারে প্রকাশ্যে চলছে জুয়া

Manual8 Ad Code

রমজানে জমজমাট সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন চাঁদনীঘাট মাছ বাজারসহ কয়েকটি স্পটের জুয়ার আসর। দক্ষিণ সুরমা কদমতলী পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই বালুর মাঠ অপরাধের এ স্বর্গরাজ্যে দিনেরাতে প্রকাশ্য চলছে জুয়া, মাদক ও অসামাজিক কর্মকান্ড। আর সে কারণে সড়কে ছিনতাই ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়িতে বেড়েছে চুরি। এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

Manual7 Ad Code

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, কদমতলী, ফল মার্কেটের সামন, যমুনা মার্কেট, চাঁদনীঘাট মাছ বাজার, ক্বিন ব্রীজের নিচে, দরিয়াশাহ-এর মাজার সংলগ্ন এলাকা, নতুন রেলওয়ে স্টেশন, ভার্থখলা নছিবা খাতুন স্কুলের গলিসহ একাদিক কলোনিতে চলছে ভারতীয় তীর জুয়া, আইপিএল জুয়া, টিকটিকি ও চরকির মতো জুয়া।

জুয়ার সাথে মাদক ও অসামাজিক কর্মকান্ড বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে একটি সিন্ডিকেট এসব অনৈতিক ব্যবসা অনেকটা গোপনে পরিচালনা করলেও তারা রমজানে প্রকাশ্যে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভার্থখলা এলাকার কুমিল্লাপট্টির মানিক তার ভাই আইয়ুব, ফরিদ, চাঁদনীঘাটে নজরুল, সুবেল, বালুর মাঠে আল-আমিন, বাবুল ও ক্বিন ব্রীজের নিচে তাহের। জনশ্রুতি রয়েছে, মূল হুতারা ফাঁড়ি পুলিশকে ম্যানেজ করে বীর দর্পণে প্রকাশ্যে জুয়ার আসর, মাদক ও অসামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। প্রথম রমজান থেকে সারারাত প্রকাশ্যে চলে একাদিক জুয়ার আসর। আর জুয়ায় বড় অংক ব্যতীত সব টাকা লেনদেন হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং এ।

পূর্বে কদমতলী এলাকাবাসী জুয়াড়িদের আস্তানা গুড়িয়ে দিয়ে চেয়ার টেলিব ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয় কাউন্সিলর অসামাজিক কর্মকান্ডের স্থান ভেঙে দেন। অনেকবার এই বালুর মাঠসহ দক্ষিণ সুরমায় অভিযান পরিচালনা করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কয়েক জনকে গ্রেফতার করে। আবার ভ্রাম্যমাণ আদালত জুয়াড়িদের আটক করে কারাদন্ড প্রদান করে। জামিনে বের হয়ে জুয়াড়িরা পুনরায় জড়িয়ে পরে অপরাধে।

Manual3 Ad Code

সিলেট র‌্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে র‌্যাব প্রায় সময় দক্ষিণ সুরমা থেকে মাদকসহ অপরাধীদের আটক করে আসলেও পুলিশের অতি অর্থলোভী কিছু সদস্যের কারনে নির্মূলন হচ্ছেনা অপরাধ। অপরাধের আস্তানায় অভিযানের পূর্বে তারাই আগাম অভিযানের বার্তা পৌছে দেয়ায় কোনো কোনো স্পটে দু’একজন জুয়াড়ি ছাড়া মূল হোতাদের খোঁজে পাওয়া যায় না আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। আর সে কারণে দিনদিন বিস্তৃত হচ্ছে অপরাধের ডালপালা। ফলে পকেট ভারি হচ্ছে অসাধু পুলিশের। ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ।

Manual1 Ad Code

চাঁদনীঘাট মাছ বাজারের ভিতরে প্রকাশ্যে চলছে আল আমিন ও আজিজ এর জুয়ার আসর,আর এ জুয়ার আসরের জুয়াড়ীরা এতোটাই বেপরোয়া যে যখন এই প্র্রতিবেদক জুয়ার বোর্ডের ছবি তুলতে চাইছিলেন তখন কয়েকজন জুয়াড়ী চিৎকার করে বলে এসব ছবি টবি তুলে কোন লাভ নেই,তোমরা কিছুই করতে পারবেনা, থানা পুলিশ সবকিছুই আমাদের পকেটে। এব্যপাারে দক্ষিন সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খায়রুল ফজলের সাথে মুঠোফনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আপনারা নিউজ করেন জুুয়াড়ীদের পকেট এতো বড় হয় নাই যে তাদের পকেটে পুুলিশ ঢুকে যাবে। এ বিষয়ে কথা হয় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সোহেল রেজা পিপিএম এর সাথে। পূর্বে কেউ আমাকে এসব আস্তানা ও আপরাধের বিষয়ে অবগত করেনি, আজ আপনার মাধ্যমে জানলাম, দ্রুত ব্যবস্থা নিবো, বলেন সোহেল রেজা।

পবিত্র রমজানে এসব স্থানে অভিযান পরিচালনার বিষয়ে সিলেট র‌্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান বলেন, কিছুদিন আগে বালুর মাঠ থেকে ঝাড়ু নামের একজনকে আটক করা হয়। শীঘ্রই আবারো দক্ষিণ সুরমায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Manual6 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..