সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:০২ অপরাহ্ণ, মে ১৮, ২০১৯
কানাইঘাটে ভাল্লুকমারা গ্রামে সরকারী বড়খালের উপর ভুমি খেকোদের তৈরী অবৈধ বাঁধ এখনো অপসারণ করা হয়নি। সিলেটের বেশ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর এবার স্থানীয় এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা বরাবরে বাঁধ অপসারণের দাবীতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত বুধবার বিকাল ৩ টার দিকে এলাকাবাসীর পক্ষে ভাল্লুকমারা গ্রামের আলা উদ্দিন, কিবরিয়া, শাহাব উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন সহ প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির ভাল্লুকমারা সরকারী বড়খালের উপর অবৈধ ভাবে ঐ গ্রামের মৃত হানিফ আলীর পুত্র প্রভাবশালী আব্দুস ছাত্তার ও আব্দুল বাছিত গংরা তাদের বাড়ীর পাশে লোভা নদীর উৎসব মুখে অবৈধ ভাবে খালের উপর প্রায় ৪ লক্ষ টাকা ব্যায়ে রাতের আধারে ঝোপঝাড়ের আড়ালে ফেলুডার দিয়ে এ বার্ধ নির্মাণ করে দিয়েছেন। পাড়াহী এলাকার সমুস্ত পানি বছরের পর বছর ধরে যে, ভাল্লুকমারা বড়খাল হয়ে লোভানদীতে গড়ায় সেই লোভানদীর উৎসব মূখে খালের উপর অবৈধ ভাবে বাঁধ র্নিমাণ করায় সীমান্তবর্তী সোনারখেওড়, লোহাজুরি, এরালীগুল, কেরকেরি, কেউটি হাওড় গ্রাম সহ আশপাশ এলাকার পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে বন্যার পানির মত এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এ জলাবদ্ধতার কারনে ডাক্তার টিলা ও আউরা মাটির রাস্তা সহ গ্রামের ছোট বড় যাতায়াতের মাটির রাস্তা ডুবে গিয়ে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে দূর্গম এলাকার শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ মসজিদ মক্তবে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এছাড়াও সামন্য বৃষ্টিপাত হলেই ফসলী জমি সহ গ্রামীণ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গিয়ে জনর্দূভোগ চরম আকার ধারন করে। খালের প্রবেশ মুখে বাঁধ দেওয়ায় বর্ষা মৌসুমে এলাকার মানুষ আর লোভানদী থেকে ভাল্লুকমারা খাল হয়ে নৌকা যোগে চলাচল করতে পারছেনা। উল্লেখ্য এই বাঁধের ১’শ গজের মধ্যে খালের দুই পাড়ের মানুষ চলাচলের জন্য সরকারী অর্থয়ানে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সম্প্রতি একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু কি কারনে ছাত্তার গংরা সেখানে ৪ লক্ষ টাকা ব্যায়ে বিশাল বাঁধ র্নিমাণ করলেন তা সচেতন মহলের প্রশ্ন? এ নিয়ে গত সপ্তাহে সিলেটের স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় খবর প্রকাশ হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে কানাইঘাট সদর ভুমি অফিসের একজন কর্মকর্তা সরেজমিনে গিয়ে ছাত্তার গংদের বাধঁ অপসারণের র্নিদেশ দেন। কিন্তু অদ্যবদি পর্যন্ত বাঁধটি অপসারণ হয়নি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd