ফণির প্রভাবে স্পিডবোটে বাড়তি ভাড়া

প্রকাশিত: ৪:৪০ অপরাহ্ণ, মে ৩, ২০১৯

ফণির প্রভাবে স্পিডবোটে বাড়তি ভাড়া

Manual4 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় ফণি ক্রমে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। এটি শুক্রবার দুপুরে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা ছুঁয়ে গভীর রাতে অথবা শনিবার ভোরে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। এ রাজ্যে তাণ্ডব চালানোর পর ফণি ঢুকতে পারে বাংলাদেশে।

Manual6 Ad Code

ফণি বাংলাদেশে প্রবেশের আগেই এর প্রভাব পড়েছে পুরো দেশজুড়ে। সতর্কতা জারির সঙ্গে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এরমধ্যে ফণির প্রভাবে শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি রুটে লঞ্চ বন্ধ থাকলেও রুটটির বেশকিছু স্পিডবোট নিষেধাজ্ঞা না মেনে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। যাত্রী চাপের সুযোগে কাঁঠালবাড়ির ফেরি যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

Manual5 Ad Code

সরেজমিন সূত্রমতে, ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিএ। লঞ্চ চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকলেও শিমুলিয়া পার থেকে স্পিডবোট চলাচল করতে দেখা যায়। লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় রুটটির ফেরিগুলোতে যাত্রীদের বাড়তি চাপ পড়ে। সুযোগ বুঝে ফেরির ইজারাদারের লোকজনেরা ২৫ টাকার ভাড়া ৩০ টাকা করে আদায় করছেন। বাড়তি ভাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানালে অনেকের সঙ্গেই বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে ইজারাদারের লোকজন। নৌ-চলাচলে অচলাবস্থা সৃষ্টির কারণে যাত্রী দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে ঘাট এলাকায় যানবাহনের সারি দীর্ঘ হচ্ছে ।

বরিশাল থেকে ঢাকাগামী যাত্রী ইমরান হোসেন বলেন, এ ঘাট থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। শিমুলিয়া থেকে আসা স্পিডবোটগুলো আপনাদের (সাংবাদিক) দেখে নিতে চায় না।

আরেক যাত্রী নিরব হাসান বলেন, সুযোগ বুঝে ফেরির ইজারাদারের লোকজন ২৫ টাকার ভাড়া ৩০ টাকা নিচ্ছে। কারণ জানতে চাইলে খারাপ ব্যবহার করছে।

Manual3 Ad Code

এ রুটের এক স্পিডবোট চালক বলেন, যেহেতু ফেরি চলছে তাই আমরা শিমুলীয়া ঘাট থেকে স্পিডবোট ছেড়ে এসেছি।

Manual8 Ad Code

ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেরি ইজারাদার পক্ষের ইমান খান বলেন, আমরা ২৫ টাকাই ভাড়া নিচ্ছি। আমাদের যারা ভাড়া কাটছে তাদের কাছে ভাংতি না থাকলে হয়ত দুই-একজনের থেকে বেশি নেয়া হচ্ছে। তবে আমি বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

বিআইডব্লিউটি এর টার্মিনাল ইনস্পেকটর আক্তার হোসেন বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ রাখা হয়েছে। ওপাড় থেকে যে স্পিডবোটগুলো আসছে তাদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা হচ্ছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..