সিলেট ১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:২৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৯, ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী বেড়েছে পাঁচ হাজার ১ শ ৩৬ জন। আগামী ১ এপ্রিল থেকে এ পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে।
এবার পরীক্ষায় ৭৬ হাজার ৬ শ ৯৮ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছেন। এর মধ্যে ছেলে ৩৪ হাজার ৮ শ ৪১ জন ও মেয়ে ৪১ হাজার ৮ শ ৫৭ জন। গতবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭১ হাজার ৫ শ ৬৩ জন।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কবির আহমদ বলেন, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যাও বেড়েছে। এ বছর পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে ৮০টি। ২০১৮ সালে এর সংখ্যা ছিল ৭৯টি। এছাড়া পরীক্ষার্থী না থাকায় একটি কলেজের সংখ্যা কমেছে। সিলেট বিভাগের ২৮৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।
তিনি আরো বলেন, প্রশ্ন ফাঁস রোধে এসএসসি পরীক্ষার মত অ্যালুমোনিয়ামের তৈরি বিশেষ ‘সিকিউরিটি খাম’ ব্যবহার হবে। এছাড়া প্রত্যেকটি কেন্দ্র, উপ-কেন্দ্রে একজন করে ট্যাগ অফিসার সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে বোর্ড কর্তৃপক্ষের গঠিত পাঁচটি ভিজিল্যান্স টিম মাঠে থাকবে।
তিনি আরো বলেন, সিলেট জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি আবার সুনামগঞ্জে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম। সিলেটে পরীক্ষায় অংশ নিবেন ৩১ হাজার ১ শ ৪৮ জন। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৭ শ ৬ জন ছেলে ও মেয়ে ১৬ হাজার ৪ শ ৪২ জন। এ জেলায় কেন্দ্র রয়েছে ২৯টি ও কলেজ ১৩৯টি।
হবিগঞ্জ জেলায় পরীক্ষার্থী ১৫ হাজার ২০ জন। এর মধ্যে ৬ হাজার ৭ শ ৭৯ জন ছেলে ও ৮ হাজার ২ শ ৪১ জন। তাছাড়া কেন্দ্র রয়েছে ১৮ টি ও কলেজ রয়েছে ৪৪টি।
মৌলভীবাজার জেলায় ১৫ হাজার ৯ শ ৯৬ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ছেলে ৭ হাজার ১ জন ও মেয়ে ৮ হাজার ৯ শ ৯৫ জন। ওই জেলায় রয়েছে ১৩ কেন্দ্র ও ৪৭টি কলেজ।
সুনামগঞ্জ জেলায় মোট পরীক্ষার্থী রয়েছে ১৪ হাজার ৫৩৪ জন। এর মধ্যে ছেলে ৬ হাজার ৩৫৫ জন ও মেয়ে ৮ হাজার ১ শ ৭৯জন। এ জেলায় কেন্দ্রে রয়েছে ১৯ টি ও কলেজের সংখ্যা রয়েছে ৫৫টি।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সচিব মোস্তফা কামাল বলেন, ইতোমধ্যে পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে সভায় এইচএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা মোতাবেক সেটভিত্তিক সব প্রশ্ন একটি খামে অ্যালুমোনিয়ামে সিকিউরিটি টেপযুক্ত করা থাকবে। পরীক্ষা শুরুর আগে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ করে পুলিশ প্রহরায় কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। কোন সেট কোডে পরীক্ষা হবে তা পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে জানানো হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে পরীক্ষার্থী জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীরা নিজ আসনে বসবেন। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে মোবাইল ফোনসহ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ। মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে প্রশ্ন পেলেই তাৎক্ষণিক আটক করা হবে। তবে কেন্দ্র সচিব একটি সাধারণ ফোন ব্যবহার করবেন।
বোর্ড সচিব বলেন, প্রশ্ন ফাঁস রোধে ট্যাগ অফিসার, কেন্দ্র সচিব বা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে প্রশ্ন পত্রের প্যাকেট খোলা ও প্যাকেট অক্ষত ছিল মর্মে সত্যায়ন রাখা হবে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd