মৌলভীবাজার কমলগঞ্জে ৩শ’ পরিবার পানিবন্দি

প্রকাশিত: ১০:২৭ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০১৮

মৌলভীবাজার কমলগঞ্জে ৩শ’ পরিবার পানিবন্দি

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: দু’দিনের টানা বর্ষনে এবং উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদীর নতুন ও পুরনো চারটি স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে গ্রামে পানি প্রবেশ করছে। ফলে বন্যার আশঙ্কা ও আউশের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। ভাঙন কবলিত এলাকায় ৩শ’ পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়ছে। মঙ্গলবার দুপুর ধলাই নদীর করিমপুর এলাকায় নতুন ভাঙন পুরনো চারটি ভাঙন দিয়ে প্লাবিত হচ্ছে গ্রাম। উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের ৯টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।

সরেজমিনে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দু’দিনের বর্ষনে ধলাই নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। মঙ্গলবার দুপুরে কমলগঞ্জ পৌর এলাকার করিমপুর এলাকায় প্রায় দেড়শ’ ফুট দীর্ঘ ভাঙন দেখা দেয়। অপরদিকে ধলাই নদীর চৈতন্যগঞ্জ এলাকা, মাধবপুরের হীরামতি, মুন্সিবাজার ইউনিয়নের কোনাগাঁও ও বাদে উবাহাটা এলাকায়র পুরনো ভাঙন দিয়ে পানি বেরিয়ে প্লাবিত হচ্ছে গ্রাম। নদীর এসব পানি নিম্নালের শমশেরনগর, মুন্সীবাজার ও পতনউষারের কেওলার হাওর এলাকা নিমজ্জিত হয়ে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ফলে আশউশ ক্ষেত ও বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। শমশেরনগর লাঘাটাছড়া পাবসস লি: এর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, নদীর পানি শমশেরনগর, পতনউষার ও মুন্সীবাজার এর মাঝ দিয়ে লাঘাটা নদীর মাধ্যমে নিস্কাষিত হয়। তবে ঝোপজঙ্গলে ভরপুর থাকায় দ্রুত পানি নিস্কাশিত না হওয়ায় এই এলাকা বন্যা প্লাবিত হয়ে প্রতি বছর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষকরা।

কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমদ বলেন, করিমপুর এলাকায় নদীর ভাঙন দিয়ে পানি প্রবেশ করায় পৌর এলাকার গোপাল নগর ও করিমপুর গ্রামের আড়াইশ পরিবার এবং মুন্সীবাজারের কোনাগাঁও এলাকার ভাঙনের ফলে আরও প্রায় ৫০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তিনি আরও বলেন, এই পানি পতনঊষার এলাকায় গিয়ে বন্যার সৃষ্টি হবে এবং কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে উপজেলার মাধবপুর, ইসলামপুর কমলগঞ্জ সদর ও আদমপুর ইউনিয়নে ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের ৯টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। বৃষ্টিপাতে ও উজানের ঢল নেমে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানও ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামছুদ্দীন আহমদ বলেন, বাদে করিমপুর গ্রামে ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে দ্রুত গতিতে পানি প্রবেশ করছে ফসলি জমিতে। প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে ২০ হেক্টর জমির রোপিত আউশ ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এসব এলাকা থেকে দ্রুত পানি নেমে গেলে তেমন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে নি¤œা লে পানি বৃদ্ধি পেলে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, করিমপুর এলাকার প্রায় দেড়শ ফুট ভাঙন পরিদর্শন করেছি। এছাড়া পুরনো কয়েকটি ভাঙন দিয়ে পানি বেরুচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন এ দিকে সতর্কতার সাথে নজরদারী করছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

June 2018
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  

সর্বশেষ খবর

………………………..