সিলেট ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৫১ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : জনপ্রিয় অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যু নিয়ে গুজব উঠেছে। সোমবার (১১ জুন) রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার এই মৃত্যুর খবর ভাইরাল হয়।
কারণ এ খবর শোনে অনেকেই ফেসবুকে তার জন্য শোক জানান। এমনকি তার অনেক সহকর্মীরাও তার মৃত্যুর খবর শুনে তার আত্মার শান্তি চেয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এছাড়া দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেল একাত্তর টিভির স্ক্রলেও এ অভিনেতার মৃত্যুর খবর প্রচার করে যাচ্ছিল।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এই পোস্ট দেখে বিডি২৪লাইভ ডটকমের পক্ষ থেকে এটিএম শামসুজ্জামানের ঘনিষ্টজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, এটিএম শামসুজ্জামান তার নিজ বাসায় রয়েছেন এবং তিনি সুস্থ আছেন। তার এই মৃত্যুর সংবাদ ভিত্তিহীন।
চারদিকে যখন তার মৃত্যুর গুজব ছড়াচ্ছে তার কিছুক্ষণ পরেই ফেসবুকে এক লাইভে আসেন এ অভিনেতা। এসেই ক্ষোভ ঝারেন এবং বলেন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। এ সময় তিনি একাত্তর টিভি ভুয়া খবর প্রচারেও সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, এবার এবং আগেও বেশ কয়েকবার যারা আমার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছেন তারা ইতর লোক। আর একাত্তর চ্যানেলের মত এমন একটা চ্যানেল কীভাবে এমন নিউজ করে। তারা তো আমার বাসায় একটা ফোন করে খোঁজ নিতে পারতেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা, পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার এই অভিনেতার জন্ম ১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৪১ সালে। অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পাঁচ বার। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক।
এটিএম শামসুজ্জামান নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুর জেলার ভোলাকোটের বড় বাড়ি আর ঢাকায় থাকতেন দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনে। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার পগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল, রাজশাহীর লোকনাথ হাই স্কুলে। পগোজ স্কুলে তার বন্ধু ছিল আরেক অভিনেতা প্রবীর মিত্র। ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট হাই স্কুল থেকে। তারপর জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। তার পিতা নূরুজ্জামান ছিলেন নামকরা উকিল এবং শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। মাতা নুরুন্নেসা বেগম। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে শামসুজ্জামান ছিলেন সবার বড়।
এটিএম শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্র জীবনের শুরু ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধূরির বিষকন্যা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন জলছবি চলচ্চিত্রের জন্য। ছবির পরিচালক ছিলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা, এ ছবির মাধ্যমেই অভিনেতা ফারুকের চলচ্চিত্রে অভিষেক। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন। প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন তিনি। অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় আগমন ১৯৬৫ সালের দিকে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের নয়নমণি চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনা আসেন তিনি। ১৯৮৭ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত দায়ী কে? চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তিনি রেদওয়ান রনি পরিচালিত চোরাবালিতে অভিনয় করেন ও শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd