সিলেট ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:২০ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০১৮
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে সরকারী গাছ কর্তনের আড়াই মাস পর দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। বৃহষ্পতিবার রাতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা অসিত কুমার পাল চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি (নং-১০) দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় দশঘর ইউনিয়নের নিহালের নোয়াগাঁও গ্রামের নকারী রেজিয়াকে বেগমকে (৪৫) কে। তিনি ছাড়াও আরো ৪/৫ জ কে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
এজাহারে প্রকাশ, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারী উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের নিহালের নোয়াগাঁও গ্রামের তৈমুছ আলীর স্ত্রী রেজিয়া বেগম গ্রামের শামসুদ্দিন মেম্বারের বাড়ির সামনের মাছুখালি-হাবড়া সরকারি সড়কের উত্তর পাশ থেকে আনুমানিক ৪০হাজার টাকা মূল্যের তিনটি গাছ কর্তন করেন। পরদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি গাছের দুটি কাটা অংশ ও ছোট দুটি টুকরো উদ্ধার করে গণমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুদ্দিনের জিম্মায় রেখে আসেন। তবে, ইউপি সদস্যের জিম্মা থেকে এগুলো রেজিয়া বেগম নিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে এজাহারে সেটা উল্লেখ্য করা হয়নি।
মামলা দায়েরে বিলম্ব ও ইউপি সদস্যের জিম্মা থেকে গাছ নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি এজাহারে উল্লেখ না করার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বাদী অসিত কুমার পাল চৌধুরী বলেন, প্রক্রিয়াগত কারণেই বিলম্ব হয়েছে। আর, গাছগুলো যেহেতু ইউপি সদস্যের জিম্মায় রেখে এসেছি, সেগুলো তার জিম্মায়ই থাকার কথা।
এ ব্যাপারে কথা হলে থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারী বিশ^নাথের দশঘর ইউনিয়নে নিহালের নোয়াগাঁও গ্রামের শামসুদ্দিন মেম্বারের বাড়ির সামনের মাছুখালি-হাবড়া সরকারি সড়কের উত্তর পাশ থেকে গ্রামের তৈমুছ আলীর স্ত্রী রেজিয়া বেগম তিনটি গাছ কর্তন করেন। পরদিন ৩মার্চ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
এর মধ্যেই স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা উদ্ধারকৃত সরকারি গাছগুলো নিয়ে যান রেজিয়া বেগম। আইনকে বারবার বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখালেও প্রভাবশালী মহলের নানা তদবিরে সরকারি গাছ কর্তনকারী এই রেজিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে টালবাহানা শুরু করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ১৩ মার্চ তার বিচার ও ইউপি সদস্যের জিম্মা থেকে নিয়ে যাওয়া গাছ উদ্ধারের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি দেন গ্রামের বাসিন্দারা। অবশেষে, ঘটনার আড়াইমাস পর সরকারি গাছ কর্তনকারী রেজিয়া বেগমকে আসামী করে থানায় মামলা দেয়া হয়।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd