খালেদার জামিন প্রশ্নে আপিলে শুনানি ফের বুধবার

প্রকাশিত: ৪:১৭ অপরাহ্ণ, মে ৮, ২০১৮

খালেদার জামিন প্রশ্নে আপিলে শুনানি ফের বুধবার

Manual4 Ad Code

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চে মঙ্গলবার বেলা ১ পর্যন্ত এ বিষয়ে শুনানি চলার পর বুধবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করে আদালত।

দিনের শুরুতে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। কেন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল হওয়া উচিৎ- সে বিষয়ে তারা সর্বোচ্চ আদালতের সামনে যুক্তি তুলে ধরেন।

দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।

খালেদার অপর আইনজীবীদেরে মধ্যে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, জয়নুল আবেদীন, মাহবুবউদ্দিন খোকন ও সানউল্লাহ মিয়াও উপস্থিত ছিলেন শুনানিতে।

Manual2 Ad Code

বিএনপি নেতাদের মধ্যে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে দেখা যায় আদালতে।

এই শুনানি ঘিরে সকাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। আদালত প্রাঙ্গণে ঢোকার সময় তল্লাশি করা হয় সবাইকে।

Manual4 Ad Code

দুদকের এ মামলায় পাঁচ বছরের সাজার রায়ের পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদাকে রাখা হয়েছে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের পরিত্যাক্ত কারাগারে।

জজ আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল চলমান থাকা অবস্থায় ৭৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ জামিন পাবেন কি না- তা নির্ভর করছে এই শুনানি এবং আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তের ওপর।

খালেদার অসুস্থতা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসা বিএনপি নেতারা আশা করছেন, সব দিক বিবেচনা করে হাই কোর্টের জামিন আদেশ বহাল রাখবে আপিল বিভাগ।

তবে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেও অন্য মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তার মুক্তি বিলম্বিত করার কৌশল সরকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে বিএনপি নেতাদের মধ্যে।

বিদেশ থেকে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টের নামে আসা দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই।

রমনা থানায় দুদকের করা এই মামলার বিচার চলে পুরো দশ বছর। ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান গত ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়ার পাশাপাশি তার ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদকে দশ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হওয়ার পর মামলার নথি নিম্ন আদালত থেকে এনে তা দেখে গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেয় হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ।

Manual7 Ad Code

দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলে সর্বোচ্চ আদালত গত ১৪ মার্চ জামিন স্থগিত করে নিয়মিত আলিভ টু আপিল করতে বলে।

Manual1 Ad Code

এরপর ১৯ মার্চ দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি দিয়ে ৮ মে শুনানির দিন ঠিক করে দেয় আপিল বিভাগ। ফলে খালেদার জামিন স্থগিতই থাকে।

জামিন প্রশ্নে সর্বোচ্চ আদালতের এ আদেশকে ‘নজিরবিহীন’ ও ‘অপ্রত্যাশিত’  হিসেবে বর্ণনা করে খালেদার আইনজীবী মওদুদ আহমদ সেদিন বলেন, “সর্বোচ্চ আদালত আদেশ দিয়ে দিয়েছে, এখন আইনি লড়াই ছাড়া বিকল্প নেই। আরেকটি হচ্ছে রাজপথের আন্দোলন। সেটি তো সুপ্রিম কোর্টে করতে পারব না। তবে আমরা যারা আইনজীবী আছি, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব তার (খালেদা জিয়া) কারামুক্তির জন্য।”

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

May 2018
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..