সিলেট ২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৪৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ওয়েজখালী ফিরোজপুর গ্রামে ৮ বছরের এক শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন (বাসক) সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সহযোগিতায় ও পুলিশের হেফাজতে সদর হাসপাতালে নিবির পর্যবেক্ষনে রয়েছে। এ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি পক্ষ বিভিন্নভাবে পায়ঁতারায় লিপ্ত রয়েছে।
খবর পেয়ে বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন (বাসক) সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মো: ফজলুল হকের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বুধবার রাতে হাসপাতালে গিয়ে শিশুটির শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। তার অভিভাবকসহ হাসপাতালের আর এম ডা. রফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলেন এবং নির্যাতিত শিশুটির সার্বিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় নির্যাতিতা শিশুটির মা মোছা: নেহার বেগম বাদি হয়ে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে পাশর্^বর্তী জলিলপুর (ফিরোজপুর) গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে লম্পট সুনু মিয়া (৩০)-কে আসামী করে সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার নং-১৮/২০১৭ ইং।
মামলার অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে অবুঝ শিশুটি আসামী সুনু মিয়ার বাড়ির উত্তর পশ্চিম পাড়ে সোহেল মিয়ার পুকুর ঘাটে থালাবাসন পরিস্কার করতে যায়। ঠিক ওই সময়ে লম্পট বিবাহিত আসামী সুনু মিয়া পুকুর ঘাটে গিয়ে শিশুটিকে একা পেয়ে মুখে চাপ দিয়ে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা চালায় এবং শিশুটির লজ্জাস্থানে ধর্ষনের চেষ্টার এক পর্যায়ে হাতের আঙ্গুল ঢুকিয়ে ছিড়ে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়। শিশুটির চিৎকার শুনে লম্পটের ন্ত্রী বুলবুলি বেগম ও তার সহযোগিরা তাকে সংঞ্জাহীন অবস্থায় সদর হাসপাতালে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশুটির বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। এই আলোচিত শিশু ধর্ষনের চেষ্টার বিষয়টি জানতে পেরে এক গণমাধ্যমকর্মী ও আইন সহায়তা ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো: ফজলুল হকের প্রচেষ্টায় শিশুটিকে পূনরায় হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়।
এ সময় তার সাথে ছিলেন- আইন সহায়তা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: আনোয়ারুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম শ্যামল, সাংবাদক স্বপন কুমার সরকার, দপ্তর সম্পাদক মো: শাহীন মিয়া প্রমুখ।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ওসি মো: শহীদুল্লাহ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে তিনি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে মানবাধিকার সংস্থার সহযোগিতায় হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয় এবং শিশুটির চিকিৎসা চলছে। তবে বিষয়টি তদন্ত চলছে এবং আসামীকে গ্রেফতারে পুলিশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd