সিলেট [english_date] | [bangla_date] | [hijri_date]
প্রকাশিত: 3:04 AM, December 20, 2017
Sharing is caring!
ক্রাইম ডেস্ক : চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানাধীন শাহ মিরপুর এলাকার একটি বাড়িতে ডাকাতির সময় চার নারী ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় পাঁচ দিন পর মামলা নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। এর আগে ওই পরিবারকে মামলা করতে কর্ণফুলী ও পটিয়া থানায় দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে।
মামলার পর সোমবার রাতে পুলিশ মো. সুজন ওরফে আবু (২৩) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আবুকে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মাসুদ পারভেজের আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত শাহ মিরপুর গ্রামটি পটিয়া উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরে সেটা নগরের কর্ণফুলী থানার আওতায় আনা হয়।
বড় উঠান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম জানান, গত ১২ ডিসেম্বর রাতে একটি বাড়ির গ্রিল কেটে ডাকাতদল অনুপ্রবেশ করে। বাড়িতে থাকা তিন জা ও তাঁদের এক ননদকে ধর্ষণ করে ডাকাতরা। ধর্ষণের পর ওই বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী ওই পরিবার মামলা করার জন্য কর্ণফুলী থানায় গেলে পুলিশ তাদের বসতবাড়ি পটিয়া থানা এলাকার অন্তর্ভুক্ত দাবি করে এবং ওই পরিবারকে পটিয়া থানায় গিয়ে মামলা করার পরামর্শ দেয়।
এরপর পরিবার পটিয়া থানায় যায়। কিন্তু পটিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল কর্ণফুলী থানা এলাকায় দাবি করে তাদের ফেরত পাঠায়।
চেয়ারম্যান বলেন, ঘটনাস্থলের সীমানা নিয়ে পুলিশের এ টানাটানিতে পরিবারটি নাস্তানাবুদ হয়। পরে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের হস্তক্ষেপে কর্ণফুলী থানা পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে।
দিদারুল ইসলাম আরো বলেন, ‘ওই বাড়িতে কোনো পুরুষ সদস্য থাকতেন না। তিন প্রবাসী ভাইয়ের তিন স্ত্রী, দুই সন্তান ও তাঁদের মা থাকতেন। তঁাদের ননদ ওই বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। ‘
নগর পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) হারুন-উর-রশিদ হাযারী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কর্ণফুলী থানা পুলিশ অন্য থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেয়নি। ওই পরিবারের কোনো পুরুষ সদস্য বাড়ি নেই। এ কারণে পরিবারটি মামলা করতে অনীহা প্রকাশ করেছিল। আশপাশের লোকজনকেও তারা ধর্ষণের ঘটনা জানায়নি। পুলিশ লোকমুখে শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ডাকাতিসহ ধর্ষণের মামলা নথিভুক্ত করেছে। এরপর নারীদের ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘
এছাড়া একজন নারী আসামি হিসেবে আবুকে শনাক্ত করেছেন। তাই তাকে গ্রপ্তোর করা হয়েছে। এখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবে বলে জানান উপকমিশনার হারুন-উর-রশিদ।
………………………..
Design and developed by best-bd