শিশুটিকে দুই যুবক ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে

প্রকাশিত: ৬:২৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০১৭

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : চট্টগ্রাম মহানগরের বাদুরতলায় নঈমিয়া ভবন মার্কেটের ছাদে কার্টন থেকে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর লাশ উদ্ধারের রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ইমন হাসান (২০) নামের এক যুবক জানিয়েছে, সে ও তার এক বন্ধু মিলে শিশুটিকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে লাশ কার্টনে ভরে রাখে।

হতভাগ্য শিশুটির নাম সালমা আক্তার (৯)।পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়ালিউদ্দিন আকবর জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেপ্তারকৃত ইমন হাসান। জবানবন্দিতে সে জানায়, শিশু সালমাকে তারা দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণের পর গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এই স্বীকারোক্তির পর ঘটনায় জড়িত ইমন হাসানের বন্ধু জীবনকে (২০) ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

গত ১৫ জুন ভোরে নগরের পাঁচলাইশ থানার বাদুরতলায় নঈমিয়া ভবন নামে একটি মার্কেটের তিনতলায় ময়লার স্তূপে কাঠের বাক্সভর্তি শিশু সালমার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করেছিল, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ পরিদর্শক ওয়ালিউদ্দিন আকবর জানিয়েছেন, তদন্তের সূত্রের তথ্য পেয়ে ইমনকে গত বুধবার রাতে নগরের বহদ্দারহাট বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধর্ষণের পর হত্যার দায় স্বীকার করে গতকাল সে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরানের আদালতে জবানবন্দি দেয়। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সূত্র মতে, ইমন নগরের বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে মাছ কাটার পেশায় জড়িত। ওই এলাকায় লোহা কলোনিতে তার বাসা। জীবনের বাসাও লোহা কলোনিতে। ধর্ষণের ঘটনাস্থল নঈমিয়া ভবনের নিচতলায় জোয়াং করপোরেশন নামে একটি স্যানিটারি দোকানের কর্মচারী জীবন।

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, নঈমিয়া ভবনের পাশে শাহ আমানত হাউজিং সোসাইটিতে সালমাদের বাসা। একই এলাকায় হওয়ায় জীবনের সঙ্গে সালমার পরিচয় ছিল। তবে ইমনের সঙ্গে পরিচয় ছিল না।

গত ১৩ জুন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সালমাকে প্রলোভন দেখিয়ে নঈমিয়া ভবনের তিনতলায় পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে যায় জীবন। সেখানে আগে থেকে ছিল ইমন। নির্জন ওই স্থানে প্রথমে জীবন সালমাকে ধর্ষণ করে। এরপর ইমন তাকে ধর্ষণ করে।

ধর্ষকদের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শিশু সালমা কাঁদতে কাঁদতে বিষয়টি তার বাবা ও মামাকে জানিয়ে দেবে বলে জীবন ও ইমনকে জানায়। ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তাত্ক্ষণিক সিদ্ধান্তে তারা সালমার মাথার হিজাব পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

এরপর জীবন ওই ভবনের নিচতলায় দোকানে চলে যায়। ইমন স্বাভাবিকভাবে বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে চলে যায়। গভীর রাতে আবারও দুজন এসে সালমার মরদেহ একটি কার্টনে ভরে ময়লার ভেতরে ফেলে যায়।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

December 2017
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  

সর্বশেষ খবর

………………………..