সিলেট ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:১২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
ক্রাইম ডেস্ক :: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) এ দুই মামলায় খালেদা জিয়ার হাজির হওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া আজ আদালতে হাজির হননি। এ জন্য বিচারক তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
পুরান ঢাকার বকশিবাজারস্থ কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আকতারুজ্জামানের আদালতে মামলা দুটির বিচার চলছে। মামলা দুটিতে খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে অসমাপ্ত বক্তব্যের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
গত ১২ অক্টোবর বিদেশে অবস্থানকালে খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরপর ১৯ অক্টোবর দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পান খালেদা জিয়া। ওই দিন খালেদা জিয়া তার স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আদালত স্থায়ী জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ধার্যকৃত তারিখ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর থেকে মামলার প্রতি ধার্যকৃত তারিখে আদালতে হাজিরা দেন খালেদা জিয়া।
গত ১৯ ও ২৬ অক্টোবর এবং ২, ৯, ১৬ ও ২৩ নভেম্বর অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। তবে তার বক্তব্য এখনও শেষ হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd