সিলেট ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৩৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের প্রায় সাড়ে চার মাস পর অবশেষে ৩০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা করেছে সিলেট জেলা ছাত্রলীগ। কমিটিতে শীতল বৈদ্যকে সভাপতি ও মোবারক হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে আগামী এক বছরের জন্য এই কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা ছাত্রলীগ।
সোমবার (৩১ জুলাই-২০১৭ইং)সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ ৩০সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন হয়।
কমিটিতে ১৫জনকে সহ-সভাপতি, ৬জনকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ৭ জনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। কমিটির পদধারিরা হলেন,-সহ-সভাপতি রেদোয়ানুল করিম মাসুম, কাউসার আহমদ, পার্থ সারথী দাস পাপ্পু, শিপন আলী, সেলিম মিয়া, মুজিবুর রহমান মনজু, সালমান রব্বানী, লিটন দে, নজরুল ইসলাম সাহেল, আলী আহমদ জুয়েল, মাহবুব হোসাইন মাসুম, নজরুল ইসলাম প্রিন্স, আরিফ আহমদ, সুনিল শুল্ক বৈদ্য, রুবেল আহমদ (দেওকলস), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ বুরহান আহমদ রুবেল, জামাল মিয়া, শাহ সাইদুল ইসলাম সুজা, রায়হান আহমদ, সাজু আহমদ খান, দিপু ধর, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরান আহমদ, জুবায়ের আহমদ জয়, মতিউর রহমান নোমান, জাবেদ হাসান আবদার, রাজন মিয়া, শেখ মোহন, মাসুদ আহমেদ।
জানা গেছে, বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগ দুটিভাগে বিভক্ত রয়েছে। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী বলয়, অপরটি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান বলয়। উভয় গ্রুপই কমিটি আসার পূর্বেই পৃথক পৃথক বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। তবে নব-গঠিত উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে সভাপতি পদে শফিক চৌধুরীর বলয়ের নেতা শিতল বৈদ্য ও সাধারণ সম্পাদক পদে আনোয়ারুজ্জামান বলয়ের নেতা মোবারক হোসেন স্থান পেয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ছাত্রলীগের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয় ২০১২ সালের ৩০ জুন। ফয়জুল ইসলাম জয়কে আহ্বায়ক ও জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল মালিক সুমন ও মুহিবুর রহমান সুইটকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির মেয়াদ ছিল ৩ মাস। এ সময়ের মধ্যেই সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার দায়িত্ব ছিল আহ্বায়ক কমিটির। উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পরপরই ছাত্রলীগ দু-ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তবে ভিতরে ভিতরে তাদের গ্রুপিং থাকলে সম্প্রতি তারা প্রকাশ্যে দুটি গ্রুপ অবস্থানে রয়েছে। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর উপজেলা সদরে পৃথকভাবে বিজয় মিছিল বের করে ছাত্রলীগ।
কিন্তু ৩ মাসের স্থলে প্রায় সাড়ে ৪ বছর পর চলিত বছরের গত ১৬ মার্চ বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী সম্মেলনের নামে অনুষ্ঠিত হয় উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন। ওই সম্মেলন শেষে জেলা ছাত্রলীগের কাছে প্রার্থীদের সিভি জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। আর ওই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই জেলা ছাত্রলীগের কমিটির কাছে সিভি জমা দেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd