নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারে নেই গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ : চালু হচ্ছে না

প্রকাশিত: ১:০৭ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭

Manual4 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : নির্ধারিত সময় ডিসেম্বরে চালু হয়নি সিলেট শহরতলির বাদাঘাটে নবনির্মিত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার। ফিনিশিং ওয়ার্ক শেষ না হওয়া; গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকা এবং রাস্তার কাজ শেষ না হওয়ায় কারাগারটি চালু করা যাচ্ছে না।

ফলে বন্দিদের আধুনিক এ কারাগারে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের অগ্রাধিকার প্রকল্পের কারাগারটি ২ মাসের মধ্যে চালু করার সব প্রচেষ্টা চলছে বলে সূত্র জানায়।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলার আবদুল জলিল জানান, এটি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প। ডিসেম্বরের মধ্যে কারাগারটি স্থানান্তরের টার্গেট ছিল। কিন্তু প্রকল্প এলাকায় এখনও প্রায় ৫ শতাংশ কাজ বাকি রয়ে গেছে। ফিনিশিংসহ অন্যান্য কাজ চললেও গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ এখন পর্যন্ত মেলেনি। এ কারণে নির্ধারিত সময়ে স্থানান্তর করা যাচ্ছে না। তিনি জানান, গ্যাসের পারমিশন হয়ে গেলে সংযোগ স্থাপন করতে বেশি সময় লাগবে না।

Manual5 Ad Code

জানা যায়, ১৭৮৯ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের প্রতিনিধি সিলেটের কালেক্টর জন উইলসন সিলেট নগরীর ধোপাদীঘির পাড়ে ২৪.৬৭ একর জায়গায় নির্মাণ করেন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার। ২২৭ বছর পর সেই কারাগার সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে নগরীর বাইরে শহরতলির বাদাঘাট এলাকায়। নতুন কারাগারের বন্দির ধারণক্ষমতাও প্রায় আড়াই হাজার। রয়েছে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাও।

Manual8 Ad Code

২০১০ সালে কারাগার স্থানান্তর প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) পাস হয়। পরের বছরের ১১ আগস্ট শহরতলির বাদাঘাটে ৩০ একর ভূমির ওপর নতুন কারাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য কারাগারটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৫ সালের জুনে। এ সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া হয় ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত।

নির্মাণ কাজের মেয়াদ ১ বছর বাড়িয়েও এ সময়ের মধ্যে কারাগারের ৭০ শতাংশের বেশি কাজ শেষ করা সম্ভব না হওয়ায় তৃতীয় দফায় আরও ১ বছর সময় দেওয়া হয় কাজ শেষ করার জন্য। ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় গণপূর্ত বিভাগকে। সর্বশেষ তাদের ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সব কাজ শেষ করার সময় সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।

Manual5 Ad Code

নির্মাণাধীন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রকল্পস্থলে সংরক্ষিত মাস্টারপ্লান থেকে জানা গেছে, কারা কম্পাউন্ডজুড়ে রয়েছে ৬৪টি ভবন। এসব ভবনের মধ্যে বন্দিদের জন্য থাকছে সাতটি ভবন। এগুলোর মাঝে পুরুষ বন্দিদের জন্য চারটি এবং নারী বন্দিদের জন্য রয়েছে তিনটি ভবন। পুরুষ বন্দিদের চারটি ভবনই ছয়তলার আর নারী বন্দিদের জন্য নির্ধারিত ভবনের মধ্যে একটি চারতলা এবং দুইটি দোতলা ভবন রয়েছে।

বন্দিদের জন্য হাসপাতালই আছে চারটি; আর কারাগারসংশ্লিষ্টদের জন্য রয়েছে একটি। বন্দিদের জন্য নির্ধারিত হাসপাতালের মধ্যে পুরুষ ও নারীদের জন্য একটি করে পাঁচতলা হাসপাতাল, একটি করে দোতলা যক্ষ্মা ও মানসিক হাসপাতাল। রান্নার কাজের জন্য রয়েছে একতলা পাঁচটি ভবন।

খাবার মজুত রাখার জন্য রয়েছে একতলা চারটি ভবন, দোতলা একটি রেস্ট হাউসও আছে। চারতলার একটি ডে-কেয়ার সেন্টারের পাশাপাশি রয়েছে মসজিদ, স্কুল এবং লাইব্রেরিও রয়েছে। নতুন কারাগারে কয়েদি ওঠানোর পর পুরনো কারাগারে ‘গ্রিন পার্ক’ স্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সিলেট-১ আসনের এমপি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

Manual8 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

December 2017
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  

সর্বশেষ খবর

………………………..