বড়লেখায় কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে বিয়ে, অতঃপর লাশ!

প্রকাশিত: ১২:১৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯

বড়লেখায় কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে বিয়ে, অতঃপর লাশ!

Manual6 Ad Code

মৌলভীবাজারের বড়লেখা নারীশিক্ষা একাডেমি ডিগ্রি কলেজের ইন্টারমিডিয়েট (বাণিজ্য) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও উপজেলার আখালিমোরা গ্রামের অকিল বিশ্বাসের মেয়ে মাধবী রানী বিশ্বাস (১৮)।

Manual7 Ad Code

এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ের প্রায় সাড়ে ৫ মাসের মাথায় স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজায়।

পিতার পরিবারকে মৃত্যুর খবর না দিয়েই লাশ দাহ করে।

Manual2 Ad Code

আদালত এ মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জুড়ী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

Manual8 Ad Code

জানা গেছে, কলেজছাত্রী মাধবী রানী বিশ্বাসকে কলেজে যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই অপরিচিত এক যুবক উত্ত্যক্ত করত। ৭ মার্চ কলেজের সরস্বতী পূজা শেষে বাড়ি ফেরার উদ্দেশে কলেজের গেটের সামনে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল মাধবী। এ সময় ওই যুবক তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়।

বাবা-মা বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও মেয়ের সন্ধান পাননি। এক সময় জানতে পারেন জুড়ী উপজেলার সায়পুর গ্রামের করুণা বিশ্বাসের ছেলে অরকুমার বিশ্বাস (২৫) মাধবীকে নিয়ে বাহাদুরপুর এলাকায় তার মামার বাড়িতে অবস্থান করছে। তুলে নেয়ার ২৬ দিন পর অরকুমার বিশ্বাস কলেজছাত্রী মাধবীকে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করে।

কিন্তু তার বাবা-মা এ বিয়ে মেনে না নেয়ায় বাড়িতে তুলছিল না। পরে দুই পরিবারের এলাকার মুরব্বিদের মধ্যস্থতায় সামাজিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।

মাধবীর বাবা অকিল বিশ্বাস অভিযোগ করেন, সামাজিক বিয়ের পর মেয়ের ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু হয়। বিয়ের ৫ মাস ৮ দিনের মধ্যে একটিবারের জন্যও মাধবীকে বাবার বাড়িতে যেতে দেয়া হয়নি।

তিনি বলেন, গত ১৮ আগস্ট রাতে স্বামী অরকুমারসহ তার পরিবারের সদস্যরা মাধবীকে মারধর করে। একপর্যায়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর তারা আত্মহত্যার নাটক সাজায়। মাধবী আত্মহত্যা করেছে বলে এলাকায় প্রচারণা করলেও বাবার বাড়িতে কোনো খবর দেয়া হয়নি।

অকিল বিশ্বাস বলেন, প্রতিবেশী মারফত খবর পেয়ে পরদিন সকালে আমি ও আমার স্ত্রী জুড়ী থানায় গেলে পুলিশ আমাদের মেয়ের লাশ দেখতে না দিয়েই ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দেয়। মেয়ের গলায় দায়ের কোপ ও গায়ে আঘাতের চিহ্ন থাকার বিষয়টি জেনে অভিযোগ দিতে চাইলে পুলিশ উল্টো হুমকি-ধমকি দেয়।

তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নিয়ে আসার পরও স্বামীর বাড়ির লোকজন আমাদের লাশ দেখতে এবং কাস্ট অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেয়নি। অবশেষে গত ২৫ আগস্ট মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ নং আমলী আদালতে স্বামী অরকুমার বিশ্বাসকে প্রধান করে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। তিনি মেয়ে হত্যার ন্যায়বিচার চেয়েছেন।

জুড়ী থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক মাধবী রানীর অপমৃত্যু মামলার প্রতিবেদন ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আদালতে প্রেরণ করেছেন।

Manual1 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

September 2019
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..