গোয়াইনঘাটে বঙ্গবীর-হাদারপার সড়কের বেহাল দশা : ঈদে পর্যটকদের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ৬:৩০ অপরাহ্ণ, জুন ৫, ২০১৯

গোয়াইনঘাটে বঙ্গবীর-হাদারপার সড়কের বেহাল দশা : ঈদে পর্যটকদের দুর্ভোগ

Manual4 Ad Code

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বঙ্গবীর থেকে হাদাপাড় বাজারের সড়কের বেহাল অবস্থা। চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসী ও বিছনাকান্দি বেড়াতে আসা পর্যটকদের। মেরামতের অভাবে রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের কারণে সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই প্রচন্ড জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় সড়কটিতে। এরই মধ্যে ভেঙ্গে বড় পুকুরে পরিণত হয়েছে সড়কটির বেশ কয়েকটি অংশ। ফলে এর বেশ কিছু অংশই এখন চলাচলের উপযোগী নয়। সড়কটি এখন যেন মরণফাঁদ। রাস্তার অনেক জায়গায় ইট উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহনগুলোকে চলতে হচ্ছে ঝুঁকি নিয়ে। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটকের যাতায়াত হয়। তাছাড়া রিকশা, ট্রাক, প্রাইভেটকার, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, ভ্যান, সাইকেল, বিভিন্ন কোম্পানীর মালবাহী গাড়িসহ অনেক যানবাহন চলাচল করে। রাস্তা ভাঙ্গার কারণে প্রায় প্রতিদিনই লোকজন বিভিন্ন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। বিকল্প সড়ক না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপজেলায় চলাচল করছেন। এলাকার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন সিহাবের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে ইট, বালু, পাথর ও মাটি দিয়ে মেরামত করা হলেও কিছুদিন পর আবার পূর্বের অবস্থা সৃষ্টি হয়। অতি দ্রæত রাস্তাটি পুননির্মাণ বা সংস্কার করার দাবি এলাকাবাসীর।

Manual6 Ad Code

সরেজমিনে দেখা গেছে, বঙ্গবীর থেকে হাদাপাড় বাজার পর্যন্ত রাস্তায় বেশ কয়েকটি বড়বড় গর্ত হয়ে পুকুরে রূপ নিয়েছে। বৃষ্টি হলেই গর্তসহ পুরো সড়কটি তলিয়ে যায়। পানি জমে থাকলে অনেকেই গর্তের গভীরতা বুঝে উঠতে পারেন না। ফলে নিত্যদিন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন সড়কে চলাচলরত হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ। যানবাহন চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের কারণে যানবাহন চলছে ঝিমিয়ে। রাস্তাটির বিভিন্ন অংশের ইটগুলো উঠে গিয়ে ছোট-বড় নানা গর্ত তৈরি হওয়ায় চলাচল করতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অন্যান্য চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটু পরিমাণ পানি জমে। প্রতিদিন শত শত গাড়ি চলাচল করে এ রাস্তা দিয়ে এবং প্রতিদিন গাড়ি নষ্ট হয়, যাত্রীরা আহত হন। এ সড়কের গর্তগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা লেগে থাকে। মাঝে মধ্যে মেরামত করা হলেও পরে আবার নষ্ট হয়ে যায় রাস্তাটি। রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কারণে আশপাশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও বিরাজ করছে অচলাবস্থা।
এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী স্থানীয়রা বলেন, প্রতিদিন স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের নিরাপত্তা চরমভাবে উপেক্ষিত। বিশেষ করে ছোট ছোট শিশুদের স্কুলে দেওয়া-নেওয়ার সময় যে কোনো সময় বিপদ হতে পারে। অন্যদিকে, বিছনাকান্দিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য হচ্ছে সীমাহীন কষ্ট। সাধারন মানুষের পাশা-পাশি বেসরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী, সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার পদচারণা প্রতিনিয়ত হয়ে থাকে। এছাড়া স্থানীয় প্রায় ৪০ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ এই সড়কটি। দীর্ঘ দিন থেকে সড়কটি সংস্কার না হওয়া ও পাথরবাহী ট্রাক এবং ট্রাক্টর যাতায়াতের ফলে এই সড়কটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবীর থেকে হাদারপার পূরো সড়কটি খনাখন্দে ভরা। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, অনেক বছর ধরে সমস্যায়, ভোগান্তিতে নাগরিক জীবন দুর্বিষহ। স্বাধীনতা-গণতন্ত্র একান্তই কিছু শ্রেণির মুখের কথা। সাধারণ মানুষ তার দাবি, সমস্যা, অধিকারের কথা বলতে পারছে না। মনে হয় আমাদের সমাজ নেতৃত্বশূন্য, কেউ নেই শোনার, দেখার। এলাকাবাসীর দাবি, সরকার যেন দ্রæত রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করে সাধারণ জনগণকে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করে রাস্তাটি মানুষের চলাচলের উপযোগী করে দেয়।
স্থানীয় রস্তমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন শিহাব বলেন, কোটি টাকার রাস্তায় হাজার টাকার কাজ করলে কি হবে? তারপরও আমার নিজ উদ্ধোগে মানুষের কষ্ট দেখে মাঝে মধ্যে রাস্তায় ইট, বালু দিয়ে থাকি কিছু দিন পর আবার যেই সেই।

Manual5 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..