নগরীর সুবি‌‌দবাজারে সুমনার উপর হামলার ঘটনায় ছেলে আটক

প্রকাশিত: ৩:০৮ পূর্বাহ্ণ, মে ২৩, ২০১৯

নগরীর সুবি‌‌দবাজারে সুমনার উপর হামলার ঘটনায় ছেলে আটক

Manual8 Ad Code

বাজারের টাকা দেবার কথা বলে নিজের তৃতীয় স্ত্রী সুমনা বেগমকে (৩০) কে ডেকে আনেন স্বামী মুহিবুর রহমান বেলাল। এরপর সুমনা বেগমকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেন বেলালের প্রথম স্ত্রীর ছেলে ইমন। বুধবার (২২ মে) রাত ১০ টায় সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকার সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহত সুমনা বেগমের মেয়ে ফাইজা আক্তার বলেন, বাজার করে দেবার কথা বলে আমার মাকে পাঠানটুলা স্কুলের সামনে যেতে বলেন আমার মায়ের তৃতীয় স্বামী মুহিবুর রহমান বেলাল। তিনি যথারীতি বাজারের টাকা হাতে দিয়ে আড়াল হয়ে যান। এরপরই ঘটনাস্থলের পাশে উৎপেতে থাকা মুহিবুর রহমান বেলালের প্রথম স্ত্রীর ছেলে ইমনের নেতৃত্বে চার-পাঁচজনের একটি দল মায়ের উপর হামলা চালায়। হামলার সময় দা, ছুড়িসহ অন্যান্য দেশীয় অস্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সিএনজি চালকরা তাকে উদ্ধার করে তাকে সিলেট এমএমজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে ওসমানী মেডিকেল কর্তৃপক্ষ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন।

Manual8 Ad Code

রুমানা বেগমের প্রথম বিয়ের সন্তান ফাইজা আক্তার এবার চৌধুরী আমেনা আব্দুল বারী স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। তিনি নিজের মায়ের বরাত দিয়ে বলেন, জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ ও পারিবারিক নানা সমস্যার কারণে ইমন, শাহনুর, শাকিল, জয়নাল আবেদীন, রুনার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এর আগেও আমার মাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল ইমন। তখন আমার মা কোর্টে মামলা করার জন্য গেলে বাবা ও ইমন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এরপর মা ভয়ে মামলা করার সাহস পাননি।

Manual1 Ad Code

এছাড়া ফাইজা আক্তার আরও বলেন, আবার তৃতীয় বাবা মুহিবুর রহমান বেলালের সাথে আমার মায়ের বিয়ের পর আবার দুই ভাই ও এক বোনের জন্ম হয়। কিন্তু মুহিবুর রহমান বেলাল আমার ভাই-বোনদের বাবার স্বীকৃতি দেন নি। উল্টো আমার মাসহ আমাদেরকে হুমকি-ধমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। বেলালের প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও তার ছেলে ইমন এতে সহযোগিতা করেন। তখন আমরা নিরুপায় হয়ে বিমানবন্দর এলাকার জাহাঙ্গীর গ্রাম এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছি।

Manual2 Ad Code

তবে সুমনা বেগমের তৃতীয় স্বামী মুহিবুর রহমান বেলাল নিজেকে নির্দোশ দাবি করে হামলার জন্য প্রথম স্ত্রীর ছেলে ইমনকে দায়ী করেছেন। তিনি এ বিষয়ের সাথে কোন ভাবেই সম্পৃক্ত নয় বলে জানিয়েছেন।

Manual5 Ad Code

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী থানার ওসি সেলিম মিঞা বলেন, জায়গাজমি ও পারিবারিক দ্বন্ধের কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার ঘটনায় সুমনা বেগমের হাতের রগ কেটে গেছে। আশঙ্কাজনকভাবে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য আসামীদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..