‘ফণী’র প্রভাব পড়তে পারে সিলেটেও : মোকাবেলায় প্রস্তুত প্রশাসন

প্রকাশিত: ৪:৫৯ অপরাহ্ণ, মে ৩, ২০১৯

‘ফণী’র প্রভাব পড়তে পারে সিলেটেও : মোকাবেলায় প্রস্তুত প্রশাসন

Manual6 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার :: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। বলা হচ্ছে, সা্ম্প্রতিক অতীতের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হতে পারে এই। শুক্রবার বিকেলের দিকে এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

Manual1 Ad Code

শুক্রবার থেকে ফনী’র প্রভাব থাকবে সিলেটেও। বিকেল থেকে বৃষ্টিসহ দমকা হাওয়া বইতে পারে সিলেট অঞ্চলে। তবে সিলেটে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভয়ঙ্কর কিছু ঘটার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে সিলেট আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা।

Manual4 Ad Code

এদিকে, ফণী মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা প্রশাসন। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে গত দুদিন ধরে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে থেকে সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে। হাওর অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে মাইকিং করে দ্রুত কাটার অনুরোধ জানানো হয়েছে। নৌ যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। এছাড়া সরকারী কর্মকর্তাদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে।

ঘুর্ণিঝড়ের সময় সতর্ক অবস্থানে থাকতে বৃহস্পতিবার সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, মৌলভীবাজারের বড়লেখাসহ কয়েকটি এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করানো হয়।

পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কায় পাহাড়-টিলার পাদদেশে অবস্থানকারীদেরও টিলার পাদদেশ থেকে সরে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Manual2 Ad Code

বৃহস্পতিবার সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর বিষয়ে কৃষক ও জনসাধারণকে সর্তক ও প্রস্তুত থাকার লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব আসার আগেই বোরো ধান কাটার জন্য কৃষকদের কাছে বার্তা পৌঁছে দেয়ার জন্য কৃষি বিভাগসহ সকলকে অনুরোধ করা হয় এবং সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে উন্মুক্ত রাখার সিন্ধান্ত নেয়া হয়।

Manual4 Ad Code

এছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট সকলকে জনসাধারণকে সতর্ক থাকার ও শুকনা খাবার, কেরোসিন, মোমবাতিসহ দুর্যোগকালীন অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুত রাখতে সকল শ্রেণি পেশার জনগণকে অনুরোধ করা হয়। আসন্ন ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বিভাগের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।

শুক্রবার দুপুরের দিকে ফণী ভারতের ওড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানতে পারে। এরপর কিছুটা দুর্বল হয়ে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, শুক্রবার বিকেল থেকে সিলেটে ফণীর প্রভাব পরিলক্ষিত হতে পারে। বৃষ্টিসহ দমকা হাওয়া বইতে পারে। তবে সিলেট অঞ্চলে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু হওয়ার শঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।

বড়লেখার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে স্কুল কাম ৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ওইসব স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর চাবি নিয়ে দপ্তরী কিংবা অন্য কেউ যাতে সার্বক্ষণিক তৎপর থাকেন সেটা বলা হয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতি বুঝে যদি আশ্রয় কেন্দ্র বাড়াতে হয়। বাড়ানো যাবে। সেরকম প্রস্তুতিও প্রশাসকের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে।’

সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, ঘূণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রতিটি উপজেলার জনসাধারণদের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..