সিলেট ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:২৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার :: এক লাখ ৭১ হাজার পুরুষ ভোটারের বিপরীতে সিলেট সিটি করপোরেশনে নারী ও নতুন ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দু’শ্রেণির ভোটারই মেয়র কিংবা কাউন্সিলর নির্বাচনের সব হিসেব নিকেশ পাল্টে দিতে পারেন। তাদের মতে, এবার প্রার্থীদের জয় পরাজয়ে প্রধান নিয়ামক হবেন নারী ও তরুণ ভোটার।
নারীদের বলা হয় নীরব ভোটার। পুরুষরা প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার প্রচারণায় অংশ নিলেও নেন না নারীরা। কিন্তু ভোটের দিনে তাদের অংশগ্রহণই থাকে বেশি। পুরুষের বুথের চেয়ে নারীর বুথের সামনে লক্ষ্য করা যায় দীর্ঘ লাইন। সিলেটে তিন লাখ ২১ হাজার ৭৩২জন ভোটারের মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ৫০ হাজার ২৮৮ জন। নীরব থাকলেও নারীদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনার কমতি নেই। নাগরিক সুযোগ সুবিধা নিয়ে ভাবছেন তারাও। বলছেন, পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ নগরী গঠনে যিনি কাজ করবেন তাকেই নির্বাচিত করবেন তারা।
গতবারের চেয়ে এবার নতুন ভোটার বেড়েছে প্রায় ত্রিশ হাজার। নতুন ভোটারদের মধ্যে অধিকাংশই তরুণ। জীবনে প্রথমবার ভোট দেয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন তরুণরা। আশ্বাস নয়, নগরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত প্রার্থী বেছে নিতে চান নতুন প্রজন্ম।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও মনে করেন নারী ও তরুণ ভোটাররা প্রার্থীদের জয় পরাজয় নির্ধারণ করবেন।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জায়েদা শারমিন বলেন, নতুন ভোটারদের অনেক সময়ই তুরুপের তাস বলা হয়। তাদের ভোট সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় তাদের ভোটের কারণেই পাল্টে যায় পুরো ফল।
নারী ও তরুণদের ভোট টানতে প্রার্থীরাও দিচ্ছেন চমকপ্রদ প্রতিশ্রুতি। কেউ বলছেন, নির্বাচিত হলে নারীদের জন্য নামাবেন আলাদা গণ পরিবহন আবার কারো প্রতিশ্রুতি নগরে তরুণদের ইন্টার্ন শিপের সুযোগ সৃষ্টি।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd