সিলেট ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৫০ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০১৮
ক্রাইম ডেস্ক :: সুনামগঞ্জ সদর ও বিশম্ভপুর উপজেলার ধোপাজল শাখানদী লুটেপুটে খাচ্ছে ‘সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ’ ফুয়াদ বাহিনী। ফুয়াদ ও তার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ট সাধারণ বালুশ্রমিক-সহ এলাকার শান্তিকামী মানুষ। অবৈধ বালুমাটি উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় সম্প্রতি ফুয়াদ ও তার লুটেরা বাহিনীর অপহরণ হামলা এবং ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন শ্রমিক পরিবারের এক ব্যক্তি। গত শুক্রবার (২৩ মার্চ) সুনামগঞ্জ শহরতলী ঘাটেরমোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে প্রকাশ, সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত ধোপাজল নামের একটি শাখা নদী বালু সম্পদে ভরপুর। এ নদীতে হাজার হাজার সাধারণ শ্রমিক প্রাকৃতিক নিয়মে বালু উত্তোলন করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। সম্প্রতি ধোপাজল নদীর বালুমহাল লুটপাটে মেতে উঠেছে সুনামগঞ্জ সদরের তেঘরিয়ার ফজলু মিয়ার পুত্র চাঁদাবাজ ফুয়াদ। একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে ফুয়াদ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর ধোপাজল নদীতে চাঁদাবাজি ও লুটপাট শুরু করে। চাঁদা না দিলে শ্রমিকদের উপর চালিয়ে থাকে অবর্ননীয় নির্যাতন। পাপশপাশি প্রত্যেকদিন পরিবেশ বিধ্বংসী ২০ থেকে ২৫টি হাইড্রলিক ড্রেজার দিয়ে নদী ও নদীতীর খোদাই করে বালু-মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করে থাকে। অবৈধ পন্থায় বালুমাটি উত্তোলন ও বিক্রি জ্ঞাতআয় বহির্ভুতভাবে কোটি কোটি টাকা কামাই করে চলেছে ফুয়াদ। অবৈধ কামাই দিয়ে ইতোমধ্যে ফুয়াদ মালিক হয়েছে একাধিক গাড়ি-বাড়ি ও জায়গা জমির। সুনামগঞ্জ শহরে করেছে বহুতল দুটি আবাসিক হোটেল। গত কয়েক বছর ধরে ফুয়াদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী ধোপাজল নদীর বালুমাটি লুট করে সরকারের লাখো-কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিলেও দেখার যেন কেউ নেই। অজ্ঞাতকারনে আইনশৃংখলা রক্ষাবাহিনী-সহ সংশ্লিষ্টরা চোখ বুজে তার অপকর্মের নিরব সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। ফুয়াদ ও তার বাহিনীর অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ-সহ নদীপারের বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ও সহায় সম্পদ রক্ষায় ২০১৫ সালের ৫ জুলাই সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক ব্যারিষ্টার এম. এনামুল কবির ইমন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করলেও কোন প্রতিকার নেয়া হয়নি। জেলা পরিষদ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের বাঁধা-নিষেধের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে ফুয়াদ ও তার বাহিনী বেপরোয়াভাবে ধোপাজল নদী ও নদীতীর লুটে পুটে খাচ্ছে। ফুয়াদ ও তার বাহিনীর বেপরোয়া বালু উত্তোলনের ফলে ধোপাজল তীরের বান্দিারা ভয়াবহ নদীভাঙ্গনের শিকার হয়ে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। ফুয়াদের চাঁদাবাজি ও লুটপাটের প্রতিবাদ করায় শ্রমিক আইনজীবি সাংবাদিক-সহ অনেকে তার বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন এবং এখনো হচ্ছেন। ফুয়াদ ও তার বাহিনীর অপকর্মের প্রতিবাদ করায় গত শুক্রবার (২৩ মার্চ) অপহরণ হামলা ও লুটপাটের শিকার হয়েছেন সুনামগঞ্জ শহরের আরফিন নগরের শফিকুল ইসলাম ফরহাদ। নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে বিরোধের জের ধরে ফুয়াদ ও তার বাহিনী ফরহাদকে রাস্তা থেকে অপহরণ করে এবং ফরহাদের বাড়িতে নিয়ে আটকে রেখে বেদম মারপিট করে গুরুতর জখম করে তার দেড়লাখ টাকার মোটর সাইকেল-সহ নগদ টাকাকড়ি ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় গত শনিবার (২৪ মার্চ) ফুয়াদ ও তার সন্ত্রাসীদের আসামী করে সুনামগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা {নং-২৬(৩)১৮} হয়েছে। মামলা ও আহত ফরহাদ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়লেও ফুয়াদ ও তার বাহিনী বেপরোয় হয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ফুুয়াদ ও তার সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ও লুটেরাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহনে এলাকার শান্তিকামী মানুষ বর্তমান সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষেও আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd