সিলেট ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:০৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
ক্রাইম ডেস্ক :: দক্ষিন সুরমা থানাধীন ঝালোপারা ,চাঁদনি ঘাট মাছ বাজার সংলগ্ন এলাকায় কিছুতেই থামছেনা ইন্টারনেট ভিত্তিক ভারতীয় শিলং তীর নামক জুয়া খেলা। অতীতে এক সময় এখানে ছিল ফেন্সিডিলের রমরমা ব্যবসা। স্থানীয় প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে এক দুই জনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠালেও তারা জামিনে বের হয়ে আবার এ খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, কিছু অসৎ পুলিশ এলাকার মাহমুদ মিয়া উরফে (কসাই) মাহমুদের ছেলে আজাদ ও ড্রাইভার আফরোজ মিয়ার ছেলে সোভেল সহ এসব জুয়ারীর কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নেয়ায়ই এই শিলং নামে জুয়া খেলা কিছুতেই থামছেনা। যার ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে তীর খেলা বন্ধে অভিযান চললেও কোন সুফল মিলছে না। সাম্প্রতিক সময়ে চাঁদনি ঘাট মাছ বাজার সংলগ্ন এলাকায় শিলং তীরের উৎপাত দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় সচেতন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ওই স্থানে প্রকাশ্যেই চলছে শিলং তীর খেলার টোকেন বিক্রি। নারী পুরুষ দল বেঁধে এই তীর নামক জুয়া খেলায় লাভের আসায় প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে। লাভ তো দূরের কথা প্রতিনিয়ত এসব খেলে অনেকেই নিঃস্ব হচ্ছে। এমনও দেখা যাচ্ছে বাড়ি থেকে চাল মাছ নিতে এসে এই তীর খেলায় টাকা হেরে কাঁদতে কাদঁতে খালি হাতে বাড়ি ফিরছে অনেকে। এ নিয়ে প্রতিনিয়ত বাসায়-বাড়িতে স্মামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে তীর খেলার মূল এজেন্টের প্রভাবশালীরা প্রতিবাদকারীদের উল্টো ধমক দিচ্ছে। জানা যায়, দক্ষিন সুরমা থানার কদমতলী পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার বিভিন্ন স্পটে ভারতীয় এ জুয়ার আসরটি টোকেন বিক্রি করে প্রকাশ্যে খেলা হচ্ছে। দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল জানান, এ খেলাটি বন্ধ করতে পুলিশ প্রশাসন থেকে যথেষ্ট চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, খেলাটি মোবাইল ইন্টারনেট ভিত্তিক হওয়ায় সহজেই এজেন্ট বা টোকেন বিক্রিতাদের ধরা যাচ্ছে না। খেলাটি বন্ধ করতে পুলিশ যথেষ্ট তৎপর রয়েছে। এদিকে আজাদ ও সোবেল এর কাছ থেকে জানা যায় ওসি দক্ষিণ সুরমাকে প্রতিদিন আট হাজার টাকা দিতে , টার্মিনাল ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই কামালের কাছে পৌছে দেয় প্রতিদিন ৩ হাজার টাকা , ফাঁড়ির ডিউটির পার্টিকে প্রতিদিন চার শত টাকা করে , সাদা পোশাকধারী ডিভি পুলিশকে প্রতিদিন ১৫০০ টাকা করে দিতে হয়। তারা আরও বলেন এসব প্রত্রিকায় লিখে কি হবে আমরা পুলিশকে টাকা দিয়ে খেলা চালাই তাই এসব লিখে কোন লাভ নেই। আমাদের কোন সমস্যা নেই যা পারেন লিখেন আমাদের কিচ্ছু হবে না। কোন অপারেশন হলে আমাদের কাছে আগে সংবাদ চলে আসে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd