সিলেট ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৩৮ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
সিলেট :: নগরীর শেখঘাটের হাফিজ আল আমিনের হত্যাকারী তার দুলাভাই ফয়সাল এর ফাঁসির দাবিতে গতকাল শুক্রবার বাদ জুমআ শেখঘাট সমাজ সেবা যুব সংঘের উদ্যোগে নগরীর জিতু মিয়ার পয়েন্টের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
শেখঘাট সমাজ সেবা যুব সংঘের সভাপতি রেদওয়ান আহমদের সভাপতিত্বে এবং সবুজ আহমদ ও রানার যৌথ পরিচালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিকন্দর আলী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, শেখ ছানাউল্লাহ জামে মসজিদের সেক্রেটারি রুহেল আহমদ, সেকিল আহমদ, নিহত আল আমিনের পিতা নরুল ইসলাম টিটন, খোকন আহমদ, মো. সায়েম শাহ।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেমাই, মাহবুব আহমদ, বদর মিয়া, কামাল আহমদ, শহিদ মিয়া, খোকন আহমদ, আহাদ আহমদ, জিসান আহমদ, রুবেল আহমদ, পাপ্পু ঘোষ, সাজু চক্রবর্তী, বায়েজিদ আহমদ, শিমুল আহমদ, কামরুল ইসলাম, রাজন আহমদ, খোকন, শুভ, সোহেল আহমদ, আজিম উদ্দিন, সিদ্দিক আহমদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এভাবে যেন আর কোনো মা-বাবার বুক খালি না হয়, এজন্য প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের পাশাপাশি সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এ ধরনের অপরাধ করে সন্ত্রাসীরা বুক ফুলিয়ে হাঁটবে। এভাবে ছোট ছোট সন্তানদের হারিয়ে আর কতো মা পথে পথে কান্না করে দিন কাটাবেন। বক্তারা আরো বলেন, সিলেটে মাদ্রাসা ছাত্র আল আমিন হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যা করা দরকার সব আমরা করব। তবু এ ঘটনায় জড়িতরা যেন কোনো ভাবেই রেহাই না পায়, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। এ ধরনের নির্মম ঘটনা কোনো ভোবেই মেনে নেয়া যায় না। পরিশেষে হাফিজ আল আমিনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
উল্লেখ্য, সিলেটে দুলাভাইর ষড়যন্ত্রে মাদ্রাসা ছাত্র আল আমিন (১৬) খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার বিকেলে বিড়াতে নিয়ে যায় তার দুলাভাই ফয়সল। এর পর থেকে সে নিখোজ। গত রোববার সিলেটের খাদিম নগর চা বাগান থেকে তার লাশ উদ্বার করেছে পুলিশ। নিহত আল আমিনের পরিবারের অভিযোগ আপন দুলাভাই ফয়সল আহমদ আল আমিনকে বিড়ানোর কথা বলে নিয়ে যায়। দুলাভাই ফিরে আসলেও মাদ্রাসা ছাত্র আল আমিন ফিরে আসি নি। নিহত আল আমিনের বাড়ী জগন্নাথপুর পৌরসভার মির্জাপুর গ্রামের নরুল ইসলাম টিটন এর বড় ছেলে। দুই-ভাই এক বোনের মধ্যে সে বড় ছিল। জানা গেছে, বড় বোনের ডির্ভোস নিয়ে দু’পরিবারের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে দুলাভাইর সাথে তার ঝগড়া-বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনা নিয়ে থাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবার।
সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ, সিলেট সদর মৎস আড়ৎ সমবায় কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ব্যবসায়ী কবির আহমদ, আছকির আহমদ, মাসুদা সুলতানা শাকি, জেলা যুবলীগ নেতা সাজলু লষ্কর, শাহিন আহমদ। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শেখঘাট সমাজ সেবা যুবসংঘের সাধারণ সম্পাদক খোকন আহমদ, সহ-সভাপতি মো. সায়েম শাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল আহমদ, প্রচার সম্পাদক রাজন আহমদ, বদর, প্রেমা, আহাদ, সোহেল, মিজু, ইসমাইল, আজিম, শুভ, পারবেজ প্রমুখ। -বিজ্ঞপ্তি
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd