রাজনগরে ইংল্যান্ড প্রবাসী ও আসামীদের ঘরবাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছে বাদীপক্ষ

প্রকাশিত: ৬:৪৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৭


Manual6 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : মৌলভীবাজারের রাজনগরে একটি হত্যা মামলার আসামী ও এক ইংল্যান্ড প্রবাসীর ঘরবাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছে বাদী পক্ষ। লুট করে নিয়ে গেছে তাদের ঘরের আসবাবপত্র, ফ্রিজ, ধানসহ সব কিছুই। পুলিশ বিষয়টি জানলেও তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ আসামী পক্ষের। পারিবারিক জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধের জের ধরে এসব ঘটনা ঘটছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

Manual8 Ad Code

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের মরহুম আব্দুল আজিজ চৌধুরী ৪টি বিয়ে করেন। সকল স্ত্রীর গর্ভে তার সন্তান রয়েছে। বেশ কিছু দিন থেকে আব্দুল আজিজ চৌধুরীর ছেলে রমজান মিয়া চৌধুরীর সঙ্গে সৎভাই ছালেক মিয়াসহ অন্যদের জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। এনিয়ে উভয় পক্ষ বেশ কয়েকবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি রমজান মিয়া সৌদিআরব থেকে দেশে এলে আবারো সেই বিরোধ মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। এরই প্রেক্ষিতে গত ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা রাতে মোকামবাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি যাওয়ার পথে মুনিয়ারপাড় (ফতেহপুর) ব্রিজের কাছে হামলার শিকার হন। এতে রমজান মিয়া চৌধুরী গুরুতর আহত হলে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিন রাতেই তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রমজান চৌধুরী ভাই শাহজান চৌধুরী বাদী হয়ে রাজনগর থানায় সৎ ভাই সোহেল মিয়া চৌধুরীকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাতসহ ১০ জনের নামে মামলা করেন।

এদিকে মামলার পরপরই আসামীরা বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ সুযোগে বাদি পক্ষের লোকজন তাদের সৎভাইদের আসামীদের পাকা দালানকোটা, বাড়ির সীমানা প্রাচীর গুড়িয়ে দেন। লুট করে নিয়ে যান কাঠের ফার্নিচার, ফ্রিজ, পানির মটরসহ ঘরের সব কিছুই। এসময় আসামীদের ভাই ইংল্যান্ড প্রাবীর মিঠু মিয়া চৌধুরীর ঘরও গুড়িয়ে দেয়া হয়। লুট করে নিয়ে যাওয়া মালামাল রাখা হয়েছে শাহজাহান চৌধুরীর বাড়িতে। আসামী পক্ষের লোকজন বলছেন তাদের ঘরবাড়িসহ অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ আসামী পক্ষের।

Manual8 Ad Code

ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস বলেন- বিষযটি আমি জেনে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। পুলিশ এলাকায় যায় না। ইউপি সদস্য আব্দুশ শহিদ চৌধুরী বলেন, ভাঙ্গার খবর পেয়ে আমি গিয়েছিলাম। উনারা আমার কথা শুনেনি। আমি মামলার আইও আবু মুকছেদকেও জানিয়েছি। কিন্তু তিনি এ খবর পেয়েও এলাকায় আসেন নি।

Manual7 Ad Code

এব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু মোকছেদ পিপিএম বলেন- আমি খবর পেয়েছি। জুড়িতে নির্বাচনের ডিউটি থাকায় এলাকায় যেতে পারিনি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

December 2017
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  

সর্বশেষ খবর

………………………..