সিলেট ১লা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি : গতকাল কুশিয়ারা নদী থেকে আব্দুর রহমান খাঁনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আব্দুর রহমান খাঁন গোলাপগঞ্জ থানা বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক এবং ফুলসাইন্দ বাজারে তার একটি ঘর নির্মাণ সামগ্রীর দোকান রয়েছে। তিনি গোলাপগঞ্জের ফুলসাইন্দ গ্রামের মৃত হাজী আব্দুস সামাদ খাঁনের পুত্র।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বর আব্দুর রহমান খাঁন রাতে ফুলসাইন্দ বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে তিনি নিখোঁজ হন। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুজি করে কোন সন্ধান না পেয়ে তার ছোট ভাই মোঃ জাকির হোসেন খান গোলাপগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন। গতকাল কুশিয়ারা নদীতে ভাসমান মৃতদেহ দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ নদী থেকে লাশ উত্তোলন করে থানায় নিয়ে যায়। লাশ সনাক্তের পর ময়নাতদন্ত শেষে তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গতকাল সরেজমিনে আব্দুর রহমান খানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীসহ ব্যবসায়ীরা ভীড় জমিয়েছেন। ২ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে আব্দুর রহমান বড় ছিলেন। হঠাৎ করে এমন মৃত্যু যেন মেনে নিতে পারছেন না তার মা ও ভাইবোনেরা। আব্দুর রহমানের একমাত্র ছোট ভাই মোঃ জাকির হোসেন খান তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। জায়গা নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রুকন উদ্দিনের সাথে তাদের বিরোধ রয়েছে। বছরখানেক পূর্বে এ নিয়ে সংঘর্ষে আব্দুর রহমান ও তার ছোটভাইসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় সিলেট আদালতে রুকন উদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন আব্দুর রহমান। এরপর থেকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে আসামীরা। এরই জের ধরে আব্দুর রহমানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে তার পরিবার।
উক্ত ঘটনায় গতকাল নিহতের ভাই মো: জাকির হোসেন খাঁন বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২৩। আসামীরা হলেন: ফুলসাইন্দ গ্রামের মৃত আমান উদ্দিনের পুত্র ইউপি চেয়ারম্যান রুকন উদ্দিন , দখার পাড়া গ্রামের আছকির আহমদের পুত্র রাজু আহমদ, লক্ষণাবন্দের মৃত ফরিদ আহমদের পুত্র সোবেল আহমদ, পশ্চিমভাগের মৃত মইন উদ্দিনের পুত্র নিজাম উদ্দিন, লক্ষণাবন্দের মৃত তবারক আলীর পুত্র আব্দুর রহিম, তেরাগুলির মৃত মছদ্দর আলীর পুত্র হারিছ মিয়া @ ঘোড়া হারিছ।
গোলাপগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd