সিলেটে বেসামাল খাদ্যপণ্যের বাজার : দিশেহারা মধ্যবিত্তরা

প্রকাশিত: ৯:৫৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭


Manual5 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক : নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েই চলছে। বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে বেসামাল হয়ে পড়েছে বাজার ব্যবস্থা। খাদ্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। পরিবারকে সঠিকভাবে চালিয়ে নিতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। চাল, ডাল, শাকসবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের সীমার মধ্যে না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

দেখা গেছে, মধ্যবিত্ত একটি পরিবারে পূর্বের তুলনায় খরচ বেড়েছে প্রায় তিন হাজার টাকার মতো। কিন্তু সে তুলনায় তাদের আয় বাড়েনি।

Manual4 Ad Code

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছর আগের তুলনায় বর্তমানে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে শাকসবজির মূল্য অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে।

Manual4 Ad Code

শাকসবজি ছাড়াও চালের দাম প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। অদৃশ্য কারণে চালের দাম বৃদ্ধি পেলেও এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ নেই। সরকারের চালের মজুদ পর্যাপ্ত পরিমাণ না হলে বাজারে নিয়ন্ত্রণ আসবে না এমনটাই ধারণা করছেন সচেতনমহল।

Manual5 Ad Code

বন্যার কারণে এবার শাক-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে এমন অজুহাতে খুচরা বাজারের বিক্রেতারা মুনাফা অর্জনের জন্য এক অভিনব পন্থা হাতে নিয়েছেন। সিলেট নগরীর পাইকারী বাজারে কিছুটা দাম কম হলেও খুচরা বাজারে সবজির দাম চড়াও। নগরীর সোবহানীঘাট, বন্দরবাজার, কাজীরবাজারসহ অন্যান্য সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, পুর্বের তুলনায় সবজির দাম তিনগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে কাচামরিচে দাম ছিল ৩০ টাকা কেজি এখন সেটা ৯০টাকা দরে কিনতে হয়েছে। খুচরা বাজারে বেগুনের দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে পৌঁছে গেছে। ৭০-৮০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি মিলছে না। সেখানে যে দামে শাক-সবজি পাইকারিভাবে বিক্রি হচ্ছে তার সঙ্গে খুচরা বাজারের দামের ব্যবধান অনেক। বেগুনের দাম ছিল পাল্লাপ্রতি (পাঁচ কেজি) ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। অর্থাৎ কেজিপ্রতি ৩৬ থেকে ৪০ টাকা। এই বেগুন এখন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি।

ঠিক তেমনি আলু, পিয়াজ, তৈলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসপত্রের খরচ তিনগুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে থাকা একজন চাকুরিজীবী বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বেড়েছে। বাজারে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়লেও তাঁদের কোনো অসুবিধা নেই। তাঁদের অনেকেই কাঁচা বাজারে যান না। সুপারশপে আরো চড়া দামের সঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে বাজার করেন। অসুবিধা হচ্ছে সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষের এবং দেশে এদের সংখ্যাই বেশি।

এদিকে মাছ ও মাংসের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন করে দাম না বাড়লেও চড়া দাম অব্যাহত রয়েছে। গরুর মাংস ৪৫০ থেকে ৫০০, ছাগলের মাংস মানভেদে ৬৫০ থেকে ৭৫০ এবং ডিমের দাম প্রতি ডজন ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম শতকরা ২০-৩০ টাকা বেড়েছে এবং বয়লার মুরগি এক সপ্তাহে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে বর্তমানে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Manual1 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

December 2017
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  

সর্বশেষ খবর

………………………..