সিলেট ১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৩২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
সাত বছর কেটে গেল নিজেকে অবিবাহিত প্রমাণ করতে। এরপর তিনি জানালেন, তিনি বিয়ে করতে চান, মা হতে চান।
তিনি ইরতিজা রুবাব। পাকিস্তানের সিনেমা জগতে তাকে মীরা নামে সবাই চেনে। ভারত-পাকিস্তান যৌথ উদ্যোগে ২০০৫ সালে ‘নজর’ নামে একটি ছবি করেন মীরা। পরে লাকি আলির বিপরীতে ‘কসক’ নামে আর একটি ছবিও করেন।
২০০৯ সালে এই অভিনেত্রীকে হঠাৎই নিজের স্ত্রী বলে দাবি করে বসেন আতিক উর রহমান নামে ফয়সালাবাদের এক ব্যবসায়ী। আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। তিনি দাবি করেন, ২০০৭ সালে লোকচক্ষুর আড়ালে ছোট করে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল তাদের। আতিকের অভিযোগ, মীরা কোনও দিন প্রকাশ্যে তাঁকে স্বামী বলে স্বীকার করেননি। ভক্তদের কাছে বলেন, তিনি অবিবাহিত।
প্রমাণ হিসেবে আতিক বিয়ের শংসাপত্রও দাখিল করেছিলেন আদালতে।
আদালতের কাছে তিনি আবেদন করে জানান, মীরার মেডিক্যাল পরীক্ষা করে দেখা হোক। তাকে বিচ্ছেদ না দিয়ে অভিনেত্রী যাতে অন্য কাউকে বিয়ে করতে না পারেন, সে আর্জিও জানান আতিক। এমনকী মীরার বিদেশে যাওয়াও আটকে দিতে বলেন তিনি।
তবে মীরা বরাবর বলে এসেছেন, আতিকের মানসিক স্থিতি নেই। তিনি প্রচার পেতে এ সব বলছেন। মীরা আরও বলেন, ‘‘এক বন্ধুর মাধ্যমে আতিকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। আতিক আয়োজিত বেশ কিছু কনসার্টও করেছি, এই পর্যন্তই। ’’ আতিকের দেখানো বিয়ের শংসাপত্র ‘জাল’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। মীরার কথায়, ‘‘এত ছোটখাট অনুষ্ঠান করে বিয়ে করতে যাব কেন?’’
যদিও এখনও চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হয়নি, তবে আদালত মীরার পক্ষে রয়েছে। গত সপ্তাহে লাহোরের পরিবার আদালত মীরাকে বিয়ের অনুমতি দিয়েছে। বিচারক বাবর নাদিম বলেন, ‘‘বিয়ের শংসাপত্র জাল না সঠিক, তা এখনও বিচারযোগ্য। কিন্তু পরিবার আদালত আইনে মীরাকে বিয়ে করা থেকে কেউ আটকাতে পারবে না। ’’ মীরা অবশ্য জয় দেখতে পাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘‘অবশেষে বিচার পেলাম।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd