সিলেট ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ২:২৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
রাশেদ আহমদ : পর্যটকদের অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত সিলেটের জাফলং। প্রকৃতি তার রূপ যেন সাজিয়ে রেখেছে দর্শনার্থীদের জন্য। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পাহাড়ি ঝর্ণায় পানির প্রবাহ রয়েছে স্বাভাবিক। তাই এবারের যে কোন সময় ছুটি কাটানোর আকর্ষণীয় জায়গা হতে পারে এই পর্যটন কেন্দ্র।
আগেই রাস্তা সংস্কারসহ সুবিধা বাড়ানোর দাবি পর্যটকদের। সিলেট থেকে জাফলং ৬৫ কিলোমিটার পথ। হরিপুর পার হবার পর প্রকৃতি অভ্যর্থনা জানাতে থাকে পর্যটকদের। সামনে মেঘালয় পাহাড়, তার ওপর ভাসমান মেঘ। ডানে বামে হাওরের জলরাশি। জৈন্তাপুর থেকে সামনে এগুলেই পাহাড়ে ভেসে ওঠে সারি সারি ঝর্ণাধারা। সবুজ পাহাড় কখনো নীল রঙ ধারণ করে। আবার কোথাও পাহাড়ের বুকে মিশে আছে সাদা মেঘ। জাফলং জিরো পয়েন্টে গিয়ে পর্যটকরা মিশে যান স্বচ্ছ জলে। সেই সাথে পাথর, বালি, আর পিয়াইন নদীর সৌন্দর্য পর্যটকদের নিয়ে যায় স্বপ্নের রাজ্যে। রোমাঞ্চকর প্রকৃতিক নৈসর্গ উপভোগ করতে জাফলংয়ে লক্ষাধিক পর্যটক ভিড় করেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিনোদনে এসে অন্যান্য বছরের মতো পানিতে ডুবে কাউকে যাতে লাশ হয়ে ঘরে ফিরতে না হয় সেজন্য ওয়াটার রেসকিউ দল ও ডুবুরি মোতায়েন করা হয় জিরো পয়েন্টে। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে রাস্তা মেরামতসহ জাফলংয়ের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর দাবি দর্শণার্থীদের। অবশ্য সড়ক যান চলাচলের উপযোগী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সড়ক বিভাগ। একেক মৌসুমে একেক ধরণের রূপ ধারণ করে জাফলং। বর্ষায় জাফলং সেজে থাকে রাণীর মতো। আর সেখান থেকেই জাফলংয়ের নাম হয়েছে প্রকৃতির রাণী। আর যে কদিন বর্ষা থাকবে শুধুমাত্র সেই দিনগুলোতে জাফলংয়ের পুরোটাই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd