বিভিন্ন অপকৌশলে সিনিয়র নার্স রেখা’র চাঁদাবাজি!

প্রকাশিত: ৬:৩৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৮, ২০১৭

Manual3 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: সিলেট ওসমানী হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রেখা রাণী বনিক হাপাতালে যোগদানের পর অদৃশ্য শক্তির কারণে সে ও তার সহযোগীদের নিয়ে গড়ে তোলেন একটি ক্ষমতাধর ‘চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট।’ টাকার বিনিময়ে ইচ্ছেমত ডিউটি বণ্টন, বদলী, ছুটি, প্রশিক্ষন সব কিছুই যেন নিজের মতোই করেই চালিয়ে যাচ্ছে এ যাবত পর্যন্ত।

Manual5 Ad Code

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক সেবিকাদের নিয়ে বৈঠক ডাকারপর কোনো ধরণের সিদ্ধান্ত না নিয়েও সাদা কাগজে উপস্থিত সেবিকাদের রহস্যজনক কারণে স্বাক্ষর নিলেন হাসপাতারেল সিনিয়র নার্স রেখা বণিক। হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে এ স্বাক্ষরগুলো নেওয়া হয়। সম্প্রতি হাসপাতালের পরিচালকের অনুপস্থিতে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক ক’জন সেবিকা জানান, ওসমানী হাসপাতালের নার্সদের পোষাকের রং পরির্বন নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত হবে। যার কারণে পূর্ব থেকেই কাগজে স্বাক্ষর দিতে হবে। তার কথা মতো অনেকেই না বুঝেই কাগজে স্বাক্ষর দেন।

Manual6 Ad Code

অভিযোগ করে নার্সরা আরো জানান, রোহিঙ্গা শরনার্থীদের সাহায্যের জন্য নাম করে ওয়ার্ড ইনাচার্জের মাধ্যমে ৪২৮জন নার্সদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করেন তিনি। কিন্তু রোহিঙ্গাদের সাহায্যের জন্য সংগৃহীত টাকা শেষ পর্যন্ত শরনার্থীদের কাছে না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও নতুন পোষাক (ইউনিফর্ম) বানানোর নামে প্রতি নার্সদের কাছ থেকে ১৬০০ টাকা করে আদায় করেন। কিন্তু নার্সরা পোষাক শেষ পর্যন্ত পায়নি। এব্যাপারে নার্সরা ভয়-ভীতি, চাকুরী হারানোর ভয়ে প্রতিবাদি হয়ে মুখ খুলতে পারছেনা বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র তা নিশ্চিত করেছে।

Manual1 Ad Code

ওসমানী হাসপাতালের নার্স রেখা বণিকের হাত থেকে রক্ষা পেতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেবিকারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু পদক্ষেপ কামনা করেছেন।

অভিযোগ ও তদন্তের ব্যাপারে কথিত সিন্ডিকেট প্রধান সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফনার্স রেখা রাণী বনিকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি অভিযোগ ও তদন্তের বিষয়ে কিছুই জানেন না এবং এ ব্যাপারে তাদের কেউ অবগত করেনি বলে জানান।

প্রসঙ্গত, রেখার বাড়ি নেয়াখালী জেলায়। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সেবিকা পদে কর্মরত রয়েছেন। স্টাফনার্স বা সেবিকা হলেও দৃশ্যত মেডিকেল অফিসার। নার্সের পোষাক কোনদিনই পরেন না তিনি। ২০০৫ সালে বিয়ে করেন শেখর বনিক নামের এক ব্যক্তিকে। কিন্তু তার স্বামী ৭০লাখ টাকা আত্মসাত মামলায় পলাতক ও আত্মগোপনে থাকায় বিয়ের পর থেকে তিনি নি:সন্তান ও নি:সঙ্গ দিনযাপন করে আসছেন।

Manual4 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2017
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..