সিলেট ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৫০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৮, ২০১৭
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: সিদ্ধিরগঞ্জের ফারজানা আক্তার তন্না। একাধিক বিয়ে হলেও তন্না নিজেকে কুমারী দাবি করে বিত্তবান পরিবারের যুবকদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে অর্থ আদায় করা রূপসী তন্নার নেশা। কাবিন নামায় ভুয়া ঠিকানা ও একেক সময় একেক জন্ম তারিখ উল্লেখ করে বিয়ে করার কিছু দিন পরই প্রকাশ পায় তার আসল রূপ। বিয়ে ব্যবসায়ী ওই তন্নার ফাঁদে পরেছে গোদনাইল এসও মন্ডলপাড়া এলাকার নাহিদ নাকে এক যুবক।
তথ্য মতে, ফারজানা আক্তার তন্না প্রেমের ফাঁদে ফেলে ২ হাজার ১৪ সালের ৪ আগস্ট প্রধম বিয়ে করে রূপগঞ্জ থানার রূপসী মীরবাড়ী এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে মীর গোলাম কিবরিয়াকে। ১ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করা ওই কাবিন নামায় ফারাজানা আক্তার তন্না নিজেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওমরপুর এলাকার মোঃ আলতাব হোসেনের মেয়ে বলে পরিচয় দেয়। জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয় ১৯৯৫ সালের ৫ মে। বিয়ের কিছু দিন পর স্বামীর সাথে বিরোধ সৃষ্টি করে মোটা অংকের টাকা আদায় করে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটায়। প্রথম বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে তন্না নতুন শিকারের খোজে নামে। সে পেয়ে যায় গোদনাইল এসও মন্ডলপাড়া এলাকার হাজী মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মোঃ নাহিদকে। ফেসবুকের মাধ্যমে নাহিদের সাথে পরিচয় হয় তন্নার। নিজেকে কুমারী পরিচয় দিয়ে তন্না নাহিদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। দেখা করার কথা বলে চলতি বছরের গত ২৬ জুন নাহিদকে শনিআখরা এলাকায় নিয়ে আটক করে তন্না ও তার সহযোগীরা। নাহিদের আভিবাকদের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করার সুযোগ না দিয়ে একই দিন ৮ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে নাহিদের সাথে তন্নার বিয়ে হয়। সেই বিয়ের কাবিন নামায় তন্না নিজেকে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার শিবনগর এলাকার আলতাফ হোসেনের মেয়ে বলে পরিচয় উল্লেখ করে। জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয় ১৯৯৮ সালের ২০ আগস্ট। নাহিদ ও তন্নার এ বিয়ে গোপন রাখা হয়। নাহিদের অভিবাকরা প্রায় ৫ মাস পর বিয়ের খবর জানতে পারে। তারা অনুসন্ধান করে তন্নার একাধিক বিয়ে ও বিয়ে ব্যবসার খবর জানতে পেয়ে এ বিয়ে মেনে নিতে অস্বীকার করে। তখন তন্না ও তার সহযোগীরা দেনমোহরের ৮ লাখ টাকা দাবি করে। নাহিদের পরিবার এত টাকা দিতে অস্বীকার করা কৌশলে তন্ন্া নাহিদকে আবার শনিআখড়া নিয়ে আটক করে রাখে। ছেলেকে না পেয়ে নাহিদের পিতা মোফাজ্জাল হোসেন গত ৪ নভেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একপি জিডি করে। যার নং ১৭৯। পরে পুলিশের সহায়তায় নাহিদকে শনিআখড়া থেকে উদ্ধার করা হয়। নাহিদের পরিবার পুলিশের আশ্রয় গ্রহন করায় তন্না গত ৬ নভেম্বর এসও মন্ডলপাড়া নাহিদের বাড়ীর সামনে গিয়ে বিষপানে আতœহত্যা করার নাটক সাজায়। এর আগেও সে আতœহত্যার নাটক সাজিয়ে এবং মামলা করার ভয় দেখিয়ে অন্যান্য স্বামীর কাছ থেকে অর্থ আদায় করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। একাধিক বিয়ে হলেও তন্না নিজেকে কুমারী পরিচয় দিয়ে ধনাঢ্য পরিবারের যুবকদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে অর্থ আদায় করার মিশনে নেমেছে। একেক সময় একেক ঠিকানা ও জন্ম তারিখ দিয়ে বিয়ে করে অর্থ আদায় করী তন্না চক্রের বিরুদ্ধে নাহিদের পরিবার আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি গ্রহন করছে বলে জানা গেছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd