সিলেট ১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৪৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০১৭
আরিফুর রহমান মাদারীপুর প্রতিনিধি : কোন কিছুতেই থামছে না জেলার বিভিন্ন নদ-নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ॥ প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জেল-জরিমানা করেও ঠেকাতে পারছে না প্রভাবশালীদের এই রমরমা ব্যবসা। বরং বালু উত্তোলনের ব্যবসা দিন দিন ফুলে ফেঁপে উঠছে। আর অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে বহু বাড়ি-ঘর ও স্থাপনা নদ-নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভিটে-মাটি হারা হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার। আড়িয়াল খাঁ নদের শাখা ও বন্দরখোলা কোল (উন্মুক্ত জলাশয়) প্রতিবছর সরকার থেকে ইজারা দেওয়া হয়। এই জলাশয়ে অবৈধ ভাবে ড্রেজার বসিয়ে প্রায় সারা বছরই বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে এক শ্রেণীর অবৈধ বালু ব্যবসায়ী।
এ জলাশয় থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে পাইপ দিয়ে সরাসরি বালু নিয়ে দূর-দূরান্তের বিভিন্ন পুকুর-খাল বা জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে দেদারছে। এতে একদিকে নদী পাড়ের মাটি আলগা হয়ে বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে যাচ্ছে। অন্যদিকে পুকুর-খাল, ডোবা-জলাশয় ভরাট করার কারণে সামান্য বৃষ্টি নামলেই সৃষ্টি হচ্ছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা। ফলে পরিবেশের বিপর্যয়ের আশংকা করছেন সচেতন মহল। একই কারণে অনুমোদন বিহীন এসব ড্রেজার দ্বারা বালু উত্তোলন করায় সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর পরিবেশবাদী সংগঠন ফ্রেন্ডস অব নেচার‘এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রাজন মাহমুদ বলেন, ‘অপরিকল্পিত ভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে পুকুর জলাশয় ভরাটের কারণে পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। এ সব বন্ধে সরকারের স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী।
এ ব্যাপারে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান আহমেদ বলেন,‘আমরা এর আগেও অবৈধ ড্রেজার উচ্ছেদ করেছি। যেখানে অবৈধ ড্রেজার দ্বারা বালু উত্তোলন করা হবে আমরা দ্রুত তা বন্ধে ব্যবস্থা নেবো।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd