সিলেট ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:০৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০১৭
সিলেটের বিশ্বনাথে চলন্ত গাড়িতে (সিএনজি চালিত অটোরিকশা) গাছের ডাল পড়ে তৌরিছ আলী (২৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার বিকেলে বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কের রোড়ে মটুককোনা গ্রাামের (ভগিরচক ব্রিজের পূর্বে) সড়কের সামনে ঘটনাটি ঘটে। নিহত তৌরিছ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাঠলী ইউনিয়নের লোহারগাঁও গ্রামের উস্তার। এসময় গুরুতর আহত হন অটোরিকশা চালক রফিক মিয়া। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনায় নিহত তৌরিছের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১’র বিশ্বনাথ জোনাল অফিসের আওয়াতাধীন শ্রমিকরা (লাইনম্যান) রবিবার বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর রোডের ভগিরচক এলাকায় সড়কের পার্শ্ববর্তী গাছের ডাল কর্তন করছিলেন। বিকেলে ৪টায় জগন্নাথপুর থেকে সিলেটগামী অটোরিকশা (সিলেট-থ ১২-৬৭৫১) মটুককোনা গ্রামের সড়কের মুখে আসা মাত্র কর্তনরত গাছের একটি ডাল অটোরিক্সার উপর পড়লে ঘটনাস্থলেই মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করে যাত্রী তৌরিছ আলী। গুরুতর আহত হন অটোরিকশার চালক রফিক মিয়া। স্থানীয় জনতা এসময় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লাইনম্যান আসিফ হাসান (২৫)’কে আটক করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীপনা ও অপরিকল্পিতভাবে জনবহুল ওই সড়কের উপর গাছের ডাল কাটার কারণে এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে। এছাড়া পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে বিশ্বনাথে আরোও কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে।
দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশাতে থাকা যাত্রী, জগন্নাথপুরের হলিয়ারপাড়া গ্রামের সুলতান মাহমুদ জানান, মটুককোনা নামক এলাকায় আসা মাত্রই হঠাৎ করেই আমাদের বহনকারী গাড়ির ওপর গাছের একটি ডাল পড়ে সামনের সিটে থাকা এক যাত্রী ও চালকের মাথায় আঘাত করে। ঘটনার আকস্মিকতায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। গাড়িটি পাশ্ববর্তী জমিনে পড়ে যায়। তিনি অভিযোগ করেন, কোনোরকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করেই সড়কের ওপরে থাকা গাছের ডাল কাটছিলেন বিদ্যুৎ কর্মচারীরা। তারা আমাদের বহনকারী গাড়ীটিকে কোনো সিগনালও দেননি।
অভিযোগ অস্বীকার করে গাছের ডাল কাটার দায়িত্বে থাকা পল্লীবিদ্যুৎ ময়নাগঞ্জ সাব-অফিসের লাইনম্যান কোকিল দাশ বলেন, আমরা গাড়িটিকে সিগনাল দিয়েছি। কিন্তু ড্রাইভার সিগনাল মানেননি। কোকিলের বক্তব্যের সাথে একমত পোষন করেছেন পল্লীবিদ্যুৎ বিশ্বনাথ জোনাল অফিসের এজিএম নাজমুল হাসান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় বিদ্যুৎ সমিতির লাইনম্যান আসিফ হাসান পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd