কদমতলীতে সেনাবাহিনীর পরিচয় দিয়ে বিকাশ দোকানীর টাকা আত্মসাত

প্রকাশিত: ১২:১৮ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০

কদমতলীতে সেনাবাহিনীর পরিচয় দিয়ে বিকাশ দোকানীর টাকা আত্মসাত

স্টাফ রিপোর্টার: দক্ষিণ সুরমার কদমতলীতে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে জাল চেকের মাধ্যমে এক বিকাশ দোকানীর ১০ হাজার ২০০ টাকা আত্মসাত করেছেন শাহজাহান আলী নামের এক ব্যাক্তি। গত ৯ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত ১টার দিকে কদমতলীর পয়েন্টের আল সাফা ম্যানশনস্থ একটি বিকাশের দোকানে এ ঘটনাটি ঘটে।

প্রতারণার শিকার হওয়া ওই বিকাশ দোকানদার খালেদ আহমদ জানান, ঘটনার দিন রাত শাহজাহান আলী আমার দোকানে এসে ০১৮৩৯০৩৫৬৬৭ নাম্বারে ১০ হাজার ২০০ টাকা বিকাশ করতে বলেন। টাকা পাঠানোর পর আমি তার কাছে টাকা চাইলে তিনি আমাকে বলেন আমার কাছে নগদ কোন টাকা নাই।

আপনাকে আমি ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে টাকাগুলো দিয়ে দেই। কিন্তু চেকের মাধ্যমে টাকা নিতে কোন ভাবে রাজি হচ্ছেন না বিকাশ দোকানী। তখন শাহজাহান আলী বলেন আমি সেনাবাহিনীর লোক। চেক নিয়ে ব্যাংকে গেলেই আপনি টাকা গুলো পেয়ে যাবেন। কোন সমস্যা হবে না।

তার এসব কথা বিশ্বাস করে বিকাশ দোকানী খালেদ আহমদ শাহজাহান আলীর সই করা ১০ হাজার ২০০ টাকার ওই চেকটি গ্রহণ করেন। পরদিন সকালে ট্রাস্ট ব্যাংক সিলেটের উপশহর শাখায় চেকটি নিয়ে গেলে ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন চেকটির স্বাক্ষর জাল এবং শাহজাহান আলী নামীয় এই একাউন্টে কোন টাকা নেই।

এঘটনার পর বিকাশ দোকানী খালেদ আহমদের বুঝতে আর বাকি রইলো না যে তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। হতাশ হয়ে শাহজাহান আলীর কাছে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

দু’ একদিন পর বিকাশ দোকানী আবার শাহজাহান আলীর কাছে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করে বলেন, ২/৩ দিন পর আমি আপনাকে টাকাগুলো দিয়ে দেব। এভাবে তারিখের পর তারিখ করে যাচ্ছেন শাহজাহান আলী। এখনো টাকা কোন হদিস পাননি ওই বিকাশ দোকানদার।

শাহজাহান আলীর বিরুদ্ধে আইনি কোন ব্যবস্থা নিবেন কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিকাশ দোকানী খালেদ আহমদ বলেন, আগামী শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) টাকা দেওয়ার তারিখ। যদি টাকা না পাই তাহলে তার বিরুদ্ধে আমি আইনি ব্যবস্থা নিব।

অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রশাসনের চোঁখ ফাকি দিয়ে সেনাবাহিনীর পরিচয় দিয়ে একের পর এক অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন শাহাজাহান আলী। মাসখানেক আগে মোগলাবাজার থানার কুচাই ইউপির ৪ মাইলের একজন বিকাশ দোকানীও শাহজাহান আলীর দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে শাহজাহান আলীর সাথে মোঠোফোনে যোগাযোগ করলে অভিযোগের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, মানুষ মাত্রই ভুল। আমি ভুল করেছি। সামান্য কিছু টাকার জন্য আমি আমার সম্মান হারাতে চাই না। আমি টাকাগুলো শনিবার দিয়ে দেব। সেনাবাহিনীর সদস্য কিনা এ প্রশ্নের জবাবে শাহজাহান আলী নিজেকে সেনাবাহিনীর সদস্য দাবী করেন।

এখন প্রশ্ন হল যে, শাহজাহান আলী যদি আসলেই সেনাবাহিনীর সদস্য হয়ে থাকেন তাহলে সামান্য কিছু টাকার জন্য তিনি কেন প্রতারণার আশ্রয় নিলেন? না কি তিনি প্রতারক? তার জবাব একমাত্র প্রশাসনের কাছে।

তার এসব কর্মকান্ডের কারণে সেনাবাহিনীর মানসম্মান নষ্ট হচ্ছে। সেনাবাহিনীর সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে তার বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্থা নিতে প্রসাশনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন বিকাশ দোকানদার খালেদ আহমদ।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

September 2020
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..