হাঁসের ও ডিমের জন্য পুলিশ সদস্যকে পেটালেন উপজেলা চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ৯:৪৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০

হাঁসের ও ডিমের জন্য পুলিশ সদস্যকে পেটালেন উপজেলা চেয়ারম্যান

Manual6 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : খামার থেকে হাঁস ও ডিম না দেয়ায় পুলিশ সদস্যকে বাজারের মধ্যে বেধড়ক মারপিট করেছেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক ও তেরখাদা উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলাম।

মারধরের শিকার শিকদার রহমত খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পাতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে পুলিশ কনস্টেবল শিকদার রহমত তেরখাদা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে কনস্টেবল শিকদার রহমত উল্লেখ করেছেন, চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলামের সহযোগী নাজু চৌধুরী, বায়জিদ লস্কর ও মনু শিকদার শুক্রবার সকালে উপজেলার চরপাতলা গ্রামে আমার হাঁসের খামারে যান। সেখান থেকে জোর করে ২০০ ডিম ও ২০-৩০টি হাঁস নেয়ার চেষ্টা করেন তারা।

Manual1 Ad Code

খবর পেয়ে সেখানে গেলে আমার শার্টের কলার ধরে পাতলা বাজারে নিয়ে যান তারা। সেখানে তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে রাখার পর হঠাৎ এসেই আমাকে মারধর শুরু করেন উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলাম। এ সময় নিজেকে পুলিশ সদস্য পরিচয় দেয়ার পরও বেধড়ক মারপিট করেন চেয়ারম্যান।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বায়জিদ লস্কর আমার খামারের কর্মচারী ফিরোজকে ফোন দিয়ে বলেন ২৫-৩০টি ডিম নিয়ে পাতলা প্রাইমারি স্কুলে এসে দেখা কর। না হলে খামার বন্ধ করে দেয়া হবে।

Manual3 Ad Code

এ ব্যাপারে তেরখাদা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, পুলিশ কনস্টেবল শিকদার রহমতের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Manual6 Ad Code

উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, হাঁসের জন্য তেরখাদার বিল নষ্ট হয়ে গেছে। আইন-শৃঙ্খলা সভায় বার বার হাঁস তুলে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবুও হাঁসের খামার বন্ধ করা হয়নি। বাধ্য হয়ে চৌকিদার দিয়ে হাঁস তুলে আনা হয়। হাঁস না তুললে কৃষকরা বাঁচবে না, কৃষক বাঁচাতেই এটি করা হয়েছে। তবে পুলিশ সদস্যকে মারপিট করিনি আমি।

Manual8 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

February 2020
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
29  

সর্বশেষ খবর

………………………..